জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। বিএনপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।বুধবার (৯ এপ্রিল) ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বৈঠকটি ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে।সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেটি দূর করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি। বৈঠকের পর নির্বাচন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আমরা জানাব।তিনি বলেন, বৈঠকে তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপনের অনুরোধ করবেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ যদি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়, তবে বর্তমান যে অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা দূর হবে।সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সঠিক রোডম্যাপ কেবল বিভ্রান্তি দূর করতেই নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে সহায়ক হবে।বিএনপি নেতা জানান, তারা নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তি করারও অনুরোধ করবেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আগেই কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন, জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষ থেকে নানা ধরনের বক্তব্যের কারণে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হবে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করব, বিশেষত, নির্বাচন কবে হবে- এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই। তিনি জানান, সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে হবে, কারণ নির্বাচন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গেছেন। তবে, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন এবং বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন ওই নেতা।বিএনপি প্রতিনিধি দল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে, যদি সরকার অযথাই আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করে, তবে বিএনপি সেটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর