মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার নাইমা ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতি ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগের পর প্রথম কর্মস্থল হিসেবে যোগদানের পর থেকে জমি ক্রেতা বিক্রেতা ও মুহুরাদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। চাহিদা মত অর্থ দিতে না পারলে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে যে কাউকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সাব রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। সেবাগ্রহীতাকে জিম্মি করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি, নির্ধারিত ফিসের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ভুমি মালিক ও মুহুরাদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন ও কমিশন রেজিষ্টি না করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে ভূমি মালিকরা। এছাড়া সাব রেজিষ্ট্রার দলিল লেখকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করেন অতিরিক্ত টাকা দেয়ার বিষয়ে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দেয়ায় মুহুরাদের হয়রানী করছে একারণে দলিল লেখকরা কয়েকবার কলম বিরতিও পালন করেছে।খাজনা খারিজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও দলিল প্রতি মোটা অংকের উৎকোচ না দিলে সাব-রেজিষ্ট্রার দলিল স্বাক্ষর করছেন না বলে খোদ দলিল লেখক ও দাতা গ্রহীতারা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে অফিস চত্বরে হর-হামেশা উচ্চবাচ্য ও হট্টোগোলের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় যে সকল গ্রহীতা উৎকোচ দিতে অনিচ্ছুক তারা দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর যারা বাধ্য হয়ে উৎকোচ দিচ্ছেন তারা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তথ্য বলছে এরআগে প্রতিদিন ২ শতাধিক দলিল রেজিষ্টি হলেও বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ টি দলিল রেজিষ্টি হচ্ছে ফলে ফাইলের স্তুপ পড়ে থাকছে। তাই দিনের পর দিন ঘুরেও জমি রেজিষ্টি করতে না পেরে হয়রানীর শিকার হচ্ছে ভুমি মালিকরা। মহুরা সমিতির সাধারন সম্পাদক ফাকের আলী বলেন, সাব রেজিষ্ট্রার দলিল প্রতি অতিরিক্ত ৫শত টাকা করে দাবি করে। না দিলে হয়রানী করে।স্থানীয় বাসিন্দা সেন্টু বলেন, দিনের পর দিন জমি রেজিষ্টি পড়ে থাকছে যার কারনে অনেক দাতা বাড়ি ফিরে গেছে এমনকি অনেক দাতা মারাও গেছে। হাড়াভাঙ্গা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ৩ মাস হয়রানীর শিকার হচ্ছেন জমি রেজিষ্ট করার জন্য। তার মত হাজার হাজার মানুষ রাত পর্যন্ত বসে থেকে জমি রেজিষ্ট না করতে পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কাজিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, একটি জমি বিক্রি করবো পরপর তিন দিন এসেছি তবুও রেজিষ্টি হয়নি।ধর্মচাকী গ্রামের লিটন মাহমুদ বলেন,ইতোপূর্বে প্রতিদিন ২ শতাধিক দলিল রেজিষ্টি হলেও সাব রেজিষ্টারের অদক্ষতা ও ঘুষ, দূর্নীতির কারনে বর্তমানে ৪০ টির বেশি দলির রেজিষ্টি হয়না। দক্ষ সাবরেজিষ্টার দেওয়ার দাবি করেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাব রেজিষ্টার নাইমা ইসলাম কথা বলতে রাজি হয়নি। খুলনা বিভাগীয় রেজিস্ট্রি কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান খাঁন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যস্থা নেয়া হবে। এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর