গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পালন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজনে চোখে পরেনি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে শিক্ষার্থীদের টানতে হাবিপ্রবি প্রশাসন কোন উদ্যেগ নেয়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীকে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল ৮ টায় হাজী দানেশের কবর জিয়ারত করার মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীত শেষে পায়রা অবমুক্ত এবং আনন্দ র্যালীর আয়োজন করা হয়। এই র্যালীতে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নিলেও দেখা যায়নি কোন শিক্ষার্থীকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে ছিলোনা এমন কোন আয়োজনও। এমন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ‘প্রশাসনের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীকেই।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো একটি আয়োজনে যদি সেই শিক্ষার্থীরাই সম্পৃক্ত না থাকে তাহলে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আসলে কাদের জন্য? শুধু কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য? শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করাতে প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান উদ্যেগই ছিলোনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মনেই হয়নি আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠার কথা ছিলো শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আনন্দ র্যালি হবে, শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে। সর্বোপরি নতুন তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনেক জাঁকজমক ও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হওয়ার কথা ছিল। হাবিপ্রবির ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের ভিতরে আনন্দ উল্লাসের কোনো কিছুই নেই। এই দায়ভার প্রশাসন এড়িয়ে যেতে পারে না।এ বিষয়ে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি সবার জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত। আমরা আশা করেছিলাম শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। আমি মনে করি এই আয়োজনে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিলে আরও সুন্দর হতো। তবে বিভিন্ন অনুষদের সামনে পরীক্ষা থাকায় এরকম আয়োজনে সারাদিনব্যাপী অংশ নেওয়া তাদের পক্ষে হয়তোবা সম্ভব হয়নি। আমি আশা করবো ভবিষ্যতে তারা এইরকম আয়োজনে অংশ নিবে।উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা এ বিষয়ে বলেন, আমাদের মাঝে অনেক ভুলভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সকলের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর