দার্শনিক ও রাষ্ট্রচিন্তক কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না, আইন ভাঙ্গার জন্য হয়। আইন ভেঙ্গে আবার যে বা যারা গণঅভ্যুত্থান করলো তারা নিজেদের মতন করে নতুন ব্যবস্থা, নতুন আইন, নতুন সংস্কৃতি, নতুন ভাষা গ্রহন করে। গণঅভ্যুত্থানের কাজ হচ্ছে এটা। আমরা এর উল্টাটা করেছি। আমরা গণঅভ্যুত্থান করলাম, জীবন দিলাম। কিন্তু আবার শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা তুলে দিলাম। শেখ হাসিনার ভুত এখনও দেশে আছে। এ ভুতের নাম হলো সংবিধান। যে ফ্যাসিস্ট সংবিধান শেখ হাসিনা লিখে গেছে, এ পুরো রাষ্ট্র এ ফ্যাসিস্ট সংবিধানে চলে। এখনও চলতাছে। তিনি বলেন, পুলিশ বলেন, আমলারা বলেন সবাই আগের আইনেই চলে। কোন পরিবর্তন হয় নি। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা সাহিত্য সংসদের আয়োজনে ২৬তম সাহিত্য উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার ভুত কিন্তু আছে, এটা যদি আমরা বুঝি, তাহলে আমাদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের প্রথম কাজ অর্থনৈতিক উন্নতি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা ইউরোপ, আমেরিকার মতো জায়গায় পৌঁছাতে চাই। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে এসেছে, আমরা চাই এদেশে বিনিয়োগ হোক। ফরহাদ মজহার আরো বলেন, আমরা যদি এ সরকারকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি, তাহলে আমরা পারি নি অনেক সাংবিধানিক সংস্কার রয়ে গেছে, শেখ হাসিনার ভুত রয়ে গেছে। সেগুলো সংস্কার করতে হবে। এ ভুত যদি আমাদের ডিস্টার্ব করে তাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। একই সাথে আমাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি করতে না পারি তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের যে লক্ষ্য তা সফল হবে না। গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষ বিশ্ব জয় করবে। বাংলাদেশ বিশ্ব জয় করতে নামছে, বিশ্ব জয় করে ছাড়বে। লক্ষ্মীপুর জেলা সাহিত্য সংসদের সভাপতি ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ আলাউদ্দিন, কবি ও প্রাবন্ধিক জসীম উদ্দিন মুহাম্মদ, লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার ইউসুফ হোসেন, রায়পুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মানিক। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর