যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পাল্টায় সব ধরনের মার্কিন পণ্যের রপ্তানি শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে চীন। বুধবার (০৯ এপ্রিল) দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত এ শুল্ক কার্যকর হবে আগামীকাল ১০ এপ্রিল থেকে।গত ২ এপ্রিল এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। চীনের ওপর ধার্য করা হয় ৩৪ শতাংশ শুল্ক।পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বেইজিং। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং ৭ এপ্রিল সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, বেইজিং যদি মঙ্গলবার (৮) এপ্রিলের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে— তাহলে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে এবং আজ ৯ এপ্রিল বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে।ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র আরটি-কে জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকিতে বেইজিং বিচলিত নয় এবং যদি ট্রাম্প শুল্কের মাধ্যমে ‘অর্থনৈতিক উৎপীড়ন’ জারি রাখেন, তাহলে চীন পাল্টা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।বেইজিং ট্রাম্পের হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় আজ ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর হয়েছে বর্ধিত শুল্ক। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর মোট আরোপিত শুল্ক পৌঁছেছে ১০৪ শতাংশে।এর পাল্টায় ঠিক আজকের দিনেই মার্কিন পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক ৮৪ শতাংশে উন্নীত করল চীন।গত ২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর; বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর— ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।৫ এপ্রিল থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর