ঝুলন্ত কোনো সেতু নয়, তবু ৩ বছর ধরে শূন্যে ঝুলে আছে সেতুটি। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের রামসোনা-বাইশকাহনিয়া রাস্তায় মালিঝি নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি নির্মাণের পর পরই নিচের মাটি সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শূন্যে ঝুলে আছে। যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে প্রাণহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এর উপর দিয়েই ছোট ছোট যানবাহনসহ চলাচল করছে প্রায় দশ গ্রামের মানুষ।জানা যায়, সেতুটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়।সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটি নদীর প্রসস্ততার তুলনায় অনেকটা ছোট। ভরা মৌসুমে পানির তীব্র চলাচলের জন্য সেতুর আকার যথেষ্ট নয়। সেতুটি নির্মাণের পর পরই মালিঝি নদীটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ময়মনসিংহ কর্তৃক খনন করা হয়। সেতুর কাছ থেকে অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে নদীর তলদেশ আরো গভীর হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতে সেতুর নিচের মাটি অনেকটাই সরে গিয়ে সেতুটি শূন্যে ঝুলছে। নিচে শূন্যতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে সেতুর উভয় প্রান্তের পিলার কাম গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে।স্থানীয় লোকজন জানান, এক পাশের ফাটলটি এতটাই ভয়াবহ, যেকোনো সময় ধসে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিন বছর ধরে সেতুটি এভাবে পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।বাইশকাহনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর কাছাকাছি থেকে খালটি খনন করার কারণে এর নিচের মাটি সঁরে গেছে। সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই শিগগির একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা দরকার।একই গ্রামের বৃদ্ধ ময়দর আলী বলেন, অনেক দিনের আশা ছিল এখানে রাস্তাসহ একটি সেতু হবে। কিন্তু সেতু হলেও তা দিয়ে চলাচল করতে ভয় হয়। সেতুটি নির্মাণের আগে নৌকায় পারাপার করতে হতো। এটি আবার ভেঙে গেলে যাতায়াতে পুরোনো দুর্ভোগ নেমে আসবে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার এ ব্যাপারে জানান, সেতুটি নির্মাণের পর পরই নদীটি খনন করার সময় সেতুর কাছে যে ভাবে খনন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল সেইভাবে করা হয়নি। বর্তমানে এই সেতুসহ গ্রামের বিভিন্ন ভাঙা বা মেরামতযোগ্য সেতু মেরামতের জন্য এলজিইডি কর্তৃক প্রকল্পের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এর পরও যদি কাজ না হয় তবে আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর