পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে দুই কিশোরী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।প্রথম ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর ছাতনাইপাড়া গ্রামে। অভিযোগে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী তার চাচার বাড়িতে শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় একই গ্রামের ছাতনাইপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে তাহের আলী (৪২) ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগীর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে চাচা-চাচী ছুটে এলে তাহের পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে একটি পক্ষ। শিশুটির মা ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় ঘটনা জানতে পেরে শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে দেবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই তাহের আলীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে প্রেরণ করে।দ্বিতীয় ঘটনাটি শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঘটে ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে। ওই কিশোরী দেবীগঞ্জ পৌর শহরের ডিসি পার্কসংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। কিশোরীটি ডিসি পার্কে ঈদ উপলক্ষ্যে আসা অস্থায়ী একটি কসমেটিকস দোকানে একটি ব্যাগ কিনতে গেলে দোকানের এক কর্মচারী (১৪) স্বল্প মূল্যে ব্যাগ দেয়ার প্রলোভনে কিশোরীকে পাশের স্কুলের গলিতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে। কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর গৃহকর্তা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের ছেলে মিরাজ মোর্শেদ বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আটক কিশোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। অভিযুক্ত কিশোর নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার নয়ানী বাকডোকরা গ্রামের বাসিন্দা।দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোয়েল রানা বলেন, কিশোরী নির্যাতনের পৃথক দুই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর