বরগুনার তালতলীতে তরমুজ দেওয়ার কথা বলে নাশির হাওলাদার (৪৫) সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রভাবশালীদের ভয়ে এ ঘটনা আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী পরিবার। তারা পুলিশ প্রসাশনের কাছে আইনি সহায়তা দাবি করেছেন। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নাসির হাওলাদার (৪৫)। তিনি উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা।জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ী নাসির হাওলাদার তরমুজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। ওই সময় ঘরে তার পরিবারের কেউ ছিল না। এ সুযোগে স্কুল ছাত্রীকে ঘরের ডেকে নিয়ে কাপড় চোপড় ছিড়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্কুল ছাত্রী পালিয়ে আসে। পরে বিষযটি তার মাকে জানায়। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানির পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা না নিতে চাপ প্রয়োগ করে।স্কুল ছাত্রী বলেন, ‘তরমুজ দেওয়ার কথা বলে নাসির হাওলাদার আমাকে ঘরে ডেকে নেয়। আমি ঘরে যাওয়া মাত্রই তিনি আমাকে শ্লীলতাহানি করে। আমি চিৎকার দিলে আমাকে ছেড়ে দেয়।’স্কুল ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আইনি ব্যবস্থা নিতে দেয়নি। তারা সালিস ব্যবস্থার নামে আমাকে হয়রানি করেছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা দাবি করছি।’তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় এসেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত নাসিরকে গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর