গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জেলা পরিষদের অর্থায়ণে রাজাপুর-রামশীল খেয়াখাটের বরাদ্দকৃত ঘাটলা নিজ বাড়িতে নির্মাণসহ বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগে রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য অবনী রায়ের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। আজ শুক্রবার (৪এপ্রিল) পয়সারহাট-পীড়ারবাড়ি সড়কের রাজাপুর নামক স্থানে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ত্রিমুখী বাজার কমিটির সভাপতি কেশব তালুকদার, রামশীল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সজীব তালুকদার, পরিতোষ বৈদ্য, সজীব রায়, বানী সরকার, কমল জয়ধর, সমীর জয়ধর, প্রতীম বৈদ্য, কাজল তালুকদারসহ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। রামশীল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সজীব তালুকদার বলেন, আমাদের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রামশীল-রাজাপুর খেয়াঘাটে একটি ঘাটলা নির্মাণের। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ কতর্ৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে একটি ঘাটলার বরাদ্ধ হয়। কিন্তু আমাদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার অবনী রায় প্রকল্পের সভাপতি হয়ে খেয়াঘাটে ঘাটলা নির্মাণ না করে তার নিজ বাড়ির ঘাটে ঘাটলা নির্মাণ করেছেন। ৯ নং ওয়ার্ডের গৃহিনী কাজল তালুকদার বলেন, এ খেয়া পার হয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং আত্মকর্মসংস্থানের জন্য তরঙ্গ নামের প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মীরা এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। নদীর পূর্বপাড় থেকে প্রতিবছর প্রায় ৫হাজার মণ ধান এই খেয়াঘাট দিয়ে পার হয়। এ খেয়াঘাটে বরাদ্দকৃত ঘাটলা নির্মাণ না করে অবনী মেম্বার তার নিজ বাড়িতে ঘাটলা নির্মাণ করছে। এছাড়াও তিনি মাতৃকালীন ভাতা, বয়স্কভাতা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য অবনী রায় বলেন, যেখানে ঘাটলা নির্মাণের কথা রয়েছে আমি সেখানেই ঘাটলা নির্মাণ করেছি। একটি পক্ষ নির্বাচনী কারণে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজাপুর গ্রামে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছিল স্থানীয় জনসাধারণ। এখবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পরে তারা অবরোধ তুলে নেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর