সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ভবনটিকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ। সৈকতের মালিক সরকার, কোন ব্যক্তি নয়- এমন ঘোষণাও দিয়েছে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। এমন নিষেধাজ্ঞ উপেক্ষা করেও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দখল করে চলছে মার্কেট নির্মানের কাজ। টিন, কাঠের মাচার উপরে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে করা হচ্ছে দ্বিতীয় তলায় আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কাজ। সৈকতের জমি নিজের দাবী করে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ করছেন সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া। এনিয়ে স্থাপনার ব্যবসায়ীরা আতংকিত হলেও, নিরুত্তাপ জমি ও ভবনের মালিক দাবীদার হিরু মিয়া।সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে পশ্চিম পাশের প্রায় দুইশো ফুট লম্বা টাইলস মার্কেট। মার্কেটটি পুরোপুরি সৈকতের ভিতরে। জোয়ারের পানি আচড়ে পড়ছে মার্কেটে। এখানে রয়েছে ৪০টির বেশি দোকান। এটিকে আরো ২০-৩০ ফুট বর্ধিত করা হচ্ছে। নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে সৈকতের বালু। লোহার পাত আর কাঠ দিয়ে তৈরী করা হলেও তার উপরেই ঢালাই দিয়ে দোতলায় নির্মান করা হচ্ছে আবাসিক হোটেল। নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই মার্কেটের এক দোকানি জানান, বর্ষায় ঢেউ এসে আচড়ে এই মার্কেটের এক পাশে। এতে ঝুকিতে থাকতে হয় আমাদের। মার্কেটটি আরো বড় করা হচ্ছে। উপরে ঢালাই দেয় হচ্ছে। এতে যেকোনো সময়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ নিয়ে কথা বললে আমাদেরকে মার্কেট থেকে বের করে দিবে।কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কে.এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটাতে স্থায়ী কোনো মার্কেট না থাকায় এই মার্কেটটি কিছুটা হলেও পর্যটকদের প্রসাধনী কেনায় গুরুত্বপূর্ন স্থান হিসাবে বিবেচিত। তবে মার্কেটিকে পৌর কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করে সাইনবোর্ড দিয়েছে। সৈকতের মধ্যে মার্কেটিকে বর্ধিত করছেন। সৈকত দখল করার কারনে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। স্থাপনা ঝুকিপূর্ন নয় প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হয়েছে এমন দাবী করে মালিক দাবিদার সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া বলেন, এই জমির মালিক আমি। আমার জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশাসনের সাথে বার বার বৈঠক হয়েছে। আবারও হবে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ামিন সাদেক বলেন, সমুদ্র সৈকতের মালিক একমাত্র সরকার। এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর