টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিজের বিয়ে ভাঙতে গিয়ে গণধোলাইয়ে শিকার হয়েছেন শরীফ মাহমুদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। বিয়ের শেরওয়ানি আগুনে পুড়ে চেকে স্বাক্ষর রেখে মুচলেকা নিয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বাবুল হোসেন খান। এর আগে বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কটামারা গ্রামে।অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মাহমুদ উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মাহমুদ বাঁশতৈল ইউনিয়নের একটি মেয়ের সাথে এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে রেজিষ্ট্রিও হয়। অন্য একটি মেয়ের সাথে শরীফ মাহমুদ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বিয়ে না করতে নানভাবে টালবাহান করেন। এক পর্যায়ে বুধবার (২ এপ্রিল) শরীফের বিয়ের দিন ধার্য হয়। সে গোপনে বিয়ে ভাঙার ফন্দি করে। দুপুরে বরযাত্রী কনের বাড়িতে যায়। খাওয়া শেষে শরীফ মাহমুদ মোবাইল ফোনে কাকে যেন বলে খাওয়া শেষ প্রশাসনের লোকজন আসেনা কেন? কনে পক্ষের এক লোক একথা শুনে ফেলে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। পরে বিষয়টি নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হৈচৈ পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বরসহ কয়েকজনকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এবং বরের পড়নের শেরওয়ানি খুলে আগুনে পুড়ে ফেলে বিক্ষুব্দ লোকজন। পরে স্থানীয় মাতাব্বর এবং দুই পক্ষের লোকজন রাতেই বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসেন। সালিশে আলোচনা সাপেক্ষে দুই পক্ষই বিয়ে না হওয়ার ব্যাপারে একমত হন। বিয়ের দেনমোহর ও খোরপশ বাবদ কনেকে ৯ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ১৮ লাখ টাকার একটি চেকে শরীফের বাবা সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষর রাখা হয়। ৯ লাখ দেওয়ার পর ওই চেক ফেরত দেওয়া হবে বরে জানা গেছে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মাহমুদ। কনের বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাথে যে ঘটনা হয়েছে তাতে আমরা খুবই মর্মাহত। এমন ঘটনা যাতে আর কারো সাথে না ঘটে।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর