মাদারীপুরের কালকিনিতে ঈদ আনন্দ মেলা চলছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। দুর -দুড়ান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের  পদচারনায় মুখরিত ছিল এ আনন্দ মেলা। দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছিল দর্শনার্থী ততই ঢল নেমে ছিল। কি পাওয়া যায় না এখানে, ছোটদের খেলনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ মুখরোচক সব খাবার। প্রতি বছর  না দেখা প্রিয়জনের এ যেন  এক মিলন মেলার জায়গা। ছোট থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ এখানে আসে।জানা যায়, প্রায় দু শত বছর পূর্বে, স্থানীয় মোরল (ব্রিটিস পিরিয়ড) হাজী লতিফ হোসেন বেপারী তার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে ঈদের দিন কয়েকটি মিষ্টি দোকানের অনুমতিতে মিষ্টি বিক্রির মধ্যে দিয়ে এ মেলার সূচনা হয়। সেই থেকে শুরু করে আজ এ মেলার পরিধি হয়েছে ব্যাপক। কয়েক জেলার মানুষ এখানে আসে দোকান নিয়ে ব্যবসা করা জন্য। আবার দর্শনার্থীরা আসছে ঈদের দিনটিকে আরো আনন্দময় করতে, কেউ কিনছে খেলনা গাড়ি, কেউ কিনছে কসমেটিকস আবার কেউ কিনছে আসবাবপত্র, আবার ভোজন বলাসী মানুষ  আনন্দ নিচ্ছে বন্ধু বা পরিবার নিয়ে খাবারের  দোকান গুলোতে।  তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফুসকা ও চটপটি। এ মেলা কে কেন্দ্র করে একদিনের জন্য হলেও দেখা হয়  বহু বছর বা বহু দিন, না দেখা বন্ধুরটির সাথে। এখানে হয় লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন জেলার মেলায় ঘুরে বেড়ানো ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকে দিনটির জন্য। পাশ্ববর্তী উপজেলা গৌরনদী থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী শিউলী বেগম বলেন আমার বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে হলেও আমরা ছোট বেলা থেকে এই মেলায় আসি, আমরা প্রতি বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। দর্শনার্থী আকাশ বলেন, সত্যি বলছি এই দিনটি এবং এই জায়গাটি আমাদের অনেক আবেগের জায়গা। প্রতি বছর বন্ধুদের সাথে এখানেই মিলন মেলা ঘটে।বাগেরহাট জেলা থেকে আসা কসমেটিকস ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন এই মেলাই আমি প্রচুর  টাকা বিক্রি করি। এই মেলাটা আমার জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ।  সবচেয়ে ভাল বিষয় হল কোন প্রকার চাঁদাবাজী নেই এখানে। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বপন মোল্লা ও বদিউজ্জামান বিল্পব জানান, সার্বিক পরিস্থি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশা পাশি মেলায় প্রবেশ পথের  প্রতিটি জায়গা আমাদের সেচ্ছাসেবকেরা রয়েছে। কোন প্রকার চাঁদাবাজির প্রশ্নে আমরা আপোশহীন এবং নিরাপত্তায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য।এসআর

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
আমতলীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
আমতলীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

বরগুনার আমতলী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে সাজেদা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী তৈয়ব হাওলাদারের (৬৫) Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন