ঈদকে ঘিরে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলার গাড়ি প্রবেশ করে শিল্পখ্যাত গাজীপুরে। অধিক যাত্রী ও ভালো ব্যবসার কারণে এ গাড়িগুলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে গাজীপুরে আসে।আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর চৌরাস্তা, সালনা, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, হোতাপাড়া, ভবানিপুর, বাগেরবাজার, গড়গরিয়া মাস্টারবাড়ি, আনসার রোড, মাওনা চৌরাস্তা, এমসি, নয়নপুর ও জৈনা বাজারে গাড়ি চালকরা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ করছে। হোতাপাড়ায় এমকে গাড়ির চালক জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছি যাত্রীর চাপ তেমন নেই। তবে একদল লোক এসে গাড়িতে যাত্রী উঠালে টাকা দিয়ে উঠাতে হবে জানিয়ে যায়।তিনি জানান, দেশ নাকি দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু চাঁদাবাজ কমেনি বরং বেড়েছে। ঈদে আমরা কিছু ব্যবসার কারণে প্রতি বছর গাজীপুরে আসি কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা দিতে দিয়ে আমাদের কিছু থাকে না। প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করলে মহাসড়কে চাঁদাবাজি হতো না বলে অভিযোগ করেন।রাজেন্দ্রপুরে এক পিকআপ চালক জানান, শেরপুর থেকে এসেছি গাড়ি সাইড করতেই কিছু ছেলে এসে বলছে গাড়িতে যাত্রী উঠালে ৫০০ টাকা দিয়ে উঠাতে হবে। টাকা কেন দেব জানতে চাইলে বলেন চা নাস্তার খরচ আছে। পরে ৪০০ শো টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছি। পুলিশ থাকলেও কোন লাভ হচ্ছে না বরং তারা থাকাকালীন এসব চাঁদা নিচ্ছে।রাজেন্দ্রপুরে গাড়ি থেকে চাঁদা নিচ্ছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা মহানগর ও জেলার এরিয়াতে পড়েছে, তবুও আমি টহল টিম পাঠাচ্ছি। সালনা হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমদে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আমার এরিয়াতে কোথাও চাঁদাবাজি হচ্ছে না। প্রতিটা পয়েন্টে আমাদের পুলিশ সদস্য ডিউটি পালন করছে, তবুও গোপনে কেউ এমন করলে আমরা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবো।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর