পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে উত্তরাঞ্চলের কর্মমুখী মানুষ। ঘরমুখো মানুষের চাপে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। গাড়ীর প্রচুর চাপ থাকলেও জেলার কোন মহাসড়কে যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকেই ঢাকা থেকেই উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে দেখা যায়। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুলে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কড্ডার মোড়, ঝাঐল ওভার ব্রীজ, নলকা হয়ে আসা যানবাহন গুলোতে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ ঘরে ফিরছে। সেই সাথে ট্রাক, পিকআপযোগে আসছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। এছাড়া পরিবারসহ মোটর বাইকেও ঘরে ফিরছে অনেক মানুষ। বাড়তি যানবাহন চলাচল করায় ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে প্রচুর চাপ রয়েছে। তবে কোথাও কোন যানজট বা দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জ। এ জেলার উপর দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৮ জেলা ছাড়াও খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার গাড়ী চলাচল করে। দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের ঢাকায় যাতায়াতের পথ যমুনা সেতু পশ্চিম সড়ক। সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঘরমুখো মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে এ মহাসড়কে গাড়ীর চাপ ক্রমশই বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনারুল ইসলাম বলেন, গাড়ীর চাপ বাড়তে থাকলেও এখন পর্যন্ত যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে কোথাও কোন যানজট নেই। সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জের সকল রুটের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের ৬শ ৪৮ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। হাইওয়ে পুলিশ সুপার (বগুড়া রিজিওন) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরছে। ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৩২২ জন ও এপিবিএনের ১শ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর