নাড়ির টানে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। আজ শুক্রবার ভোর থেকেই গাজীপুরে ঢাকা–ময়মনসিংহ ও ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন স্থানে গাড়ির চাপ থাকায় কিছুটা ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। যানজট নিরসন ও ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গাড়ির সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গী, চেরাগ আলী, গাজীপুরা পয়েন্ট দিয়ে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। এ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ইউটার্ন নেওয়া, যাত্রী উঠানামার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।অপরদিকে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মাওনা পর্যন্ত রাস্তা ফাকা থাকায় ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার গাড়ী দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পাচ্ছে। ফলে গাজীপুর অংশে জ্যাম নেই।এদিকে, ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে এই পয়েন্টে কিছুটা ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মার্চ থেকে ১৬১টি কারখানা ছুটি শুরু হয়। ২৭ মার্চ থেকে ৩৭৪টি, ২৮ মার্চ থেকে ৬৪৮টি। ২৯ মার্চ থেকে ৯২৪টি কারখানা ছুটি দেবে।সালনা হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমেদ সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে সড়ক–মহাসড়কে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় ড্রোন পর্যবেক্ষণ, মোটরসাইকেল পেট্রোলিং, কুইক রেসপন্স টিম ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুলিশ কাজ করছে। একই সাথে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা এক যোগে কাজ করছে।তিনি আরও জানান, ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়িতে যেন যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমাদের সদস্যরা কাজ করছে, ইতিমধ্যে মহাসড়কে থাকা অবৈধ দোকানপাট ফুট পাট দখলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের কোন ভোগান্তি না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, তাছাড়া চুরি ছিনতাই রোধে আমাদের জিরো টলারেন্স গ্রহণ করা হয়েছে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর