টাঙ্গাইলের মির্জাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ। শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ২টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ২০১৮ সালে সাজানো যৌন হয়রানির অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আর আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে শতভাগ স্বচ্ছতা নিরুপনের জন্য প্রতিবছর অডিট করা হয়েছে। যে সাদিয়া সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে তাকে আমি নিজে বরখাস্ত করেছি।তিনি বলেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদ এখন এডহক কমিটি। কমিটির সভাপতি এবং বিদ্যুৎসাহী সদস্য ব্যাতিত বাকি সদস্যরা নিয়ম বহির্ভুতভাবে হয়েছে। যে কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বৈধ না সেই কমিটির কোন কাজও বৈধ হতে পারেনা। যেখানে কমিটির বৈধতার নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে সেখানে তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বৈধ হতে পারেনা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এডহক কমিটি কলেজে কোন শিক্ষক নিয়োগ বা বরখাস্ত করতে পারেনা। তাই আমাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সম্পুর্ণ বেআইনি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্রের পরিপন্থী।উল্লেখ, গত ৮ মার্চ কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় আর্থিক ও যৌন কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১০ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর