গভীর রাতে যাত্রীবেশে অটোরিকশায় (টমটম) উঠে চালককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর গোলাপাড়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিএমখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য জামাল উদ্দিন।নিহত চালকের নাম সিরাজুল মোস্তফা (৩১) তিনি রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা মৃত জাফর আলমের ছেলে। সিরাজ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এবং তিন সন্তানের জনক।নিহত সিরাজের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে কলঘর থেকে একদল দুর্বৃত্ত যাত্রীবেশে তার টমটমে ওঠে। পিএমখালীর চেরাংঘরের পূর্ব পাশে শুক্কুর সওদাগরের ইটভাটা সংলগ্ন গোলার পাড়া রাস্তার মাথা নির্জন স্থানে পৌঁছানোর পর পথিমধ্যে পরিকল্পিতভাবে তারা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে লড়তে রাস্তার ধারে লুটিয়ে পড়েন সিরাজুল, আর সেই সুযোগে তার একমাত্র সম্বল অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা।পথচারীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মৃত্যুর আগে সিরাজুল মোস্তফা দুর্বৃত্তদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন এবং আশপাশের লোকজনকে তাদের নামও বলার চেষ্টা করেছিলেন।এদিকে দরিদ্র টমটম চালকের খুন করে টমটম ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রুটিরোজগারের একমাত্র সম্বল হারিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি বলে জানিয়েছেন চাকমারকুলের সচেতন মহল।তাদের মতে, এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে গেছে, কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতা সন্তোষজনক নয়।এবিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোর রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর