কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আবুল কালামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ওএমএস ডিলারশিপ দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগী। অভিযোগকারী জামান মিয়া জানান, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ওএমএস ডিলারশিপের জন্য আবেদন করেন। মাত্র দুইদিন পর আবুল কালাম তাকে ডিলারশিপ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ হাজার টাকা নেন। পরে বেশি টাকার বিনিময়ে সেই ডিলারশিপ অন্যজনকে দিয়ে দেন বলে তার অভিযোগ। প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি টাকাও ফেরত পাননি। এরপর তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারি খাদ্যশস্য ও খাদ্য সামগ্রী ব্যবসার লাইসেন্স পুনরায় তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেন। তবে অভিযোগের পরও তাকে কেউ ডাকেনি এবং কোনো তদন্ত হয়নি বলে জানান তিনি।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আবুল কালামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, এ বিষয়ে অফিসে এসে কথা বলেন। এরপরই কলটি কেটে দেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যাপী দাস জানান, তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। তবে সেটি অনেক আগের হওয়ায় তিনি বলেন, আমি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং আপনাকে জানাচ্ছি। তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর