রাজধানীর উত্তরা বিএনএস সেন্টারের পিছনের সড়ক তিন রাস্তার মোড়ে দীর্ঘ প্রায় ১ মাস যাবত ইন্টারনেট ও ডিসের অব্যবহৃত কাটা তারের অংশ ময়লার স্তুপ পড়ে আছে। ফলে ব্যাস্ততম এ সড়কে প্রতি দিন ঘটছে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনা। এছাড়াও অন্যান্য যানবাহন ও পথচারী চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিদিন এই পথে চলাচল করা মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঔখানকার আশপাশের দোকানদার মিজানসহ আরো কয়েকজন বলেন, রমজানের আগে ডেস্কো কর্তৃপক্ষ সাইদ গ্রান্ড ভবনের পাশে দুইটি বিদ্যুতের খুঁটি লাগায়।তখন তারা পুরাতন খুঁটিতে এলোপাতাড়ি ঝুলে থাকা ডিস ও ইন্টারনেট কম্পানির তার কেটে সড়কে ফেলে চলে যায়।এতে সড়কে চলাচলকারী রিকশা ও মোটর সাইকেল প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। এ সময় পথচারীরা বলেন,প্রতিদিন ২০/২৫ টা মোটর সাইকেল সড়কে পড়ে থাকা তাঁরের উপর চলতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে উল্টে পড়ে প্রতিনিয়ত আহত হয়। এটি যেন দেখার কেউ নেই।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঔখানে অবস্থিত কয়েকটি স্কুল কলেজের ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে হাত পায়ে আঘাত পাচ্ছে।পথচারীরা আপসোস করে বলেন, উত্তরার ব্যাস্ততম অন্যতম এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। পাশেই রয়েছে উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, পরশমনি ল্যাবরেটরি স্কুল, মাইলস্টোন স্কুল শাখা, বিএনএস সেন্টার ও সাইদ গ্র্যান্ডের মতো বড় বড় দুটি মার্কেট। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০-১১ পর্যন্ত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস আদালত ও দোকানপাটের মালিক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ হাজার হাজার মানুষ এ সড়কে চলাচল করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এখন রমজান মাস। এ মাসে ও মানুষকে কষ্ট করে সড়কে চলতে হয়। রাস্তার ওপর এলোমেলোভাবে পড়ে থাকা তারের কারণে প্রতিনিয়ত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল ও পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হয়। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই কাটা তাঁর গুলো স্পষ্টভাবে দেখা যায় না, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় দোকান মালিক বলেন, প্রতিদিন আমাদেরকে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কে পড়ে থাকা তার গুলোর কারণে পথচারীদের হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে, যানবাহনেরও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এগুলো দ্রুত সরানোর প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানকার ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা।প্রশ্ন করা হলে পথচারীরা বলেন, কে বা কারা রেখেছে তাদের জানা নেই।স্থানীয়দের ধারণা, কোনো ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (ISP) বা সংযোগ মেরামতের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হয়তো কাজের পর তারগুলো রেখে গেছে। তবে এসব তার কারা রেখেছে, বা কেন সরানো হচ্ছে না, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।নিয়ম অনুযায়ী, সংযোগ সংস্কার বা নতুন সংযোগ স্থাপনের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোর উচিত ব্যবহৃত তার গুলো সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।তাই দ্রুত এই তারগুলো সরিয়ে পথচারী ও যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্যাস্ততম সড়কে পরে থাকা ময়লার স্তুপ না সরানোর বিষয়ে জানতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল- ১ এর সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আনিচুল হক এর দপ্তরে কয়েক বার গিয়েও ওনাকে পাওয়া যায় নি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর