রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের এক অসহায় পরিবারের গল্প শুনলে যে কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়বেন। আরিক উল্লাহ ও রেজিয়া দম্পতির সংসারে সদস্য আটজন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁদের ছয়জনই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। দারিদ্র্য ও অসুস্থতার ভারে নুয়ে পড়া এই পরিবার প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।এই পরিবারের সদস্যদের অনেকেই চলাফেরা করতে পারেন না, স্বাভাবিকভাবে জীবনের কাজকর্ম চালানো তাঁদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আরিক উল্লাহও বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তিনি দিনমজুরির কাজ করলেও পরিবারের চাহিদা পূরণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় না।রেজিয়া বেগম জানান, “আমাদের ছয়জন সন্তানই প্রতিবন্ধী। তারা ঠিকমতো হাঁটতে পারে না, খেতে পারে না। স্বামী দিনমজুর, সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।”এই অসহায় পরিবারের খবর জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকেই তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। রমজান মাস উপলক্ষে আরও অনেক মানুষ তাদের জন্য সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসছেন।বাগমারার এক দানশীল ব্যক্তি বলেন, “এই পরিবারের অবস্থা দেখে আমি শোকাহত। আমরা সবাই যদি একটু একটু করে সাহায্য করি, তবে ওরা একটু ভালো থাকতে পারবে।”রমজান সংযম ও দানের মাস। এই পবিত্র মাসে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আপনার সামান্য সহায়তাই এই পরিবারের জন্য হতে পারে বেঁচে থাকার অবলম্বন। নগদ অর্থ, খাদ্যসামগ্রী কিংবা ওষুধ—যেকোনোভাবে সাহায্য করতে পারেন।যারা সাহায্য করতে চান, তারা স্থানীয় প্রশাসন বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে সরাসরি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।আপনার সহানুভূতি ও সহযোগিতাই পারে এই পরিবারটিকে একটু স্বস্তি দিতে। আসুন, রমজানে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিই।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর