কক্সবাজার টেকনাফে অবৈধ পন্থায় সাগর পথে, মানব পাচার অপচেষ্টা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উক্ত অপরাধে জড়িত দালালদের সক্রিয়তাও বেড়েছে।তথ্য সুত্রে দেখা যায়, সাগর পথে মানব পাচার প্রতিরোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের অভিযান অব্যাহত রাখলেও উক্ত অপরাধে জড়িত দালাল চক্রের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ঘৃণ্য কাজটি চালু রাখতে নানান কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে।এদিকে ১২ মার্চ (বুধবার) রাতে গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী থানা পুলিশের একটি চৌকস দল টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ সড়ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ পন্থায় সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করার সময় নারী-শিশুসহ ১৮ ভিকটিমকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এসময় মানবপাচারকারী চক্রের এক দালালকেও আটক করতে সক্ষম।বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে সাগর সংলগ্ন উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক অতিক্রম করে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী-শিশু,পুরুষ একটি গ্রুপ ট্রলার যোগে পাচার হবে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী পুলিশ একটি চৌকস দল ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৮ রোহিঙ্গা ভিকটিমকে উদ্ধার করে।উদ্ধারকৃত ১৮ ভিকটিমের মধ্যে পুরুষ-২ জন, মহিলা-১১ জন ও শিশু ৫ জন।উক্ত অভিযান চলাকালীন সময়ে পাচার কাজে জড়িত এক দালালকেও আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তবে অভিযান চলাকালীন সময়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মানব পাচারে জড়িত দালাল চক্রের বেশ কয়েক জন সদস্য কৌশলে পালিয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ওসি আরো বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পালিয়ে যাওয়া বেশ কয়েক জন দালাল চক্রের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। আটক ও পলাতকসহ সর্বমোট ১৪ জন মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর