সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার পৌরসভার নির্ধারিত টার্মিনাল না থাকায় যানবাহন থেকে অবৈধভাবে টোল আদায় বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বেলকুচি সহকারি জজ আদালতের বিচারক শাহদাতুল হাসান আল মুরাদ এই আদেশ দেন।আদেশে বেলকুচি পৌরসভার প্রশাসক কাম বেলকুচি উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সব ধরণের যানবাহন থেকে পৌর টোল আদায়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। একইসাথে অবৈধ টোল আদায়ে নিষেধাজ্ঞায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশনা প্রদান করেন।উল্লেখ্য, বেলকুচি পৌরসভায় কোন বাস এবং ট্রাক টার্মিনাল না থাকলেও বেলকুচি পৌরসভা দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ অবৈধ ভাবে ইজারা প্রদান করে। সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চালা,মুকুন্দগাতী বাজার,গার্লস স্কুল মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে বাস ট্রাক কাভার্ড ভ্যান সিএনজিনচালিত অটোরিক্সা ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, ভ্যান সহ সব ধরণের যানবাহনের গতি রোধ করে অবৈধ ভাবে টোল আদায় করে আসছে। কিন্তু টার্মিনাল ব্যতিরেকে সড়ক বা মহাসড়কে টোল আদায়ে হাইকোর্টের ২০১৮ ও ২০২২ সালে পরপর দুটি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে টোল আদায় অব্যহত থাকায় পরিবহন ব্যবসায়ী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মালিক ও সিরাজগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা অটোটেম্পু হিউম্যান হলার মালিক গ্রুপের সাবেক কার্যকরি সদস্য সোহেল রানা টোল আদায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও টোল আদায়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ২৮/৪/২০২৪ তারিখে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র (অপসারীত)সাজ্জাদুল হক রেজা ও ইজারাদার মো: ছাইফুল ইসলামকে বিবাদী করে বেলকুচি সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৯/২০২৪। মামলায় বিবাদি পক্ষের আইনজীবী ১০ বার সময় নিয়েও টার্মিনালের কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ৫ আগষ্টের পর অন্তর্বতী সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে সারাদেশের ন্যায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়রও অপসারীত হলে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেলকুচি পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী মানবাধিকার কর্মী মো: শহিদুল ইসলাম সম্পুরক ও আরজি সংশোধন আবেদনে বিবাদীর নাম সংশোধন করে নিষেধাজ্ঞা আবেদন করলে গতকাল মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানী ও হাইকোর্টের আদেশ পর্যালোচনা এবং টোল আদায়ের নীতিমালা অনুসরণ পূর্বক বিচারক অন্তর্বতী সময়ের জন্য টোল আদায়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। সম্পুরক বিবাদীরা হলেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের নির্বাহি কর্মকর্তা ও বেলকুচি পৌরসভার অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক আফিয়া সুলতানা কেয়া, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,প্রধান প্রকৌশলী ভারপ্রাপ্ত নাসরিন সুলতানা (উপ সহকারি প্রকৌশলী) পৌরসভার সচিব লুৎফর রহমান সহ টেন্ডার কমিটির অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর