ভোলার বাজারে হঠাৎ করে কৃত্রিম সংকটের তৈরী হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তৈলের। এতে চরম বিপাকে পরেছেন সাধারণ ক্রেতারা। অন্যান্য পন্য ক্রয় ব্যতীত মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তৈল। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলার দাম।ভোলার শহরের কাঁচা বাজার, খালপাড় পাইকারি ও খুচরা মুদি দোকানগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সাধারন ক্রেতারা। শহরের বড় আড়ৎ গুলোর বেশির ভাগ দোকানেই নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। তবে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে তেল থাকলেও ক্রয় মিলছে না সহজেই। তেল কিনতে আসা ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে অন্য পন্য ক্রয় করার শর্ত।ক্রেতারা বলছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের অবৈধভাবে মজুদ করে পরবর্তীতে তা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করার জন্য বড় ব্যবসায়ীদের এই কারসাজি। পাশাপাশি অন্য পন্য বিক্রির করার একটি কৌশল তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বেশ কিছু পন্যের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত। ভোক্তা অধিকার কতৃক নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য জোড় দাবী জানিয়েছেন তারা।তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সবগুলো কোম্পানিই এই সংকট তৈরি করেছেন। তারা তেলের জন্য কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে চাহিদা দিলেও মিলছে না তৈল। তেল কিনতে ব্যবসায়ীদেরও দেওয়া হচ্ছে অন্যান্য পন্য ক্রয় করার শর্ত। চিনিগুড়া চাল, চা পাতা, হলুদের গুড়া ক্রয় করা ব্যতীত মিলছে না তেল। সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা মত বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি না করতে পারায় বিক্রেতা দোকান গুলোও পরেছেন বিপাকে। ভোলার বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা কামাল, পাভেল, পেয়ার ইসলাম নুরুদ্দিন জানান, রোজা রেখে বাজারের মধ্যে কয়েকটি দোকান  ঘুরেও তেলের দেখা পাননি। তবে হাতেগোনা ৩-৪টি দোকানে তেল পেলেও তেলের সঙ্গে অন্যান্য পন্য ক্রয় করতে বাধ্য করছেন দোকানদাররা। পন্য ক্রয় ছাড়া মিলছে না তেল। এদিকে বাজারে সয়াবিন তেলের পাশাপাশি কিছু পন্যের দাম বেড়েছে আবার কিছু পন্যের দাম কমেছে যেমন, ছোলা আগে ছিলো ১২০ টাকা কেজি যা বর্তমানে ১০০ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা বর্তমানে ১২০ টাকা, ডাল, খেজুরের দাম অপরিবর্তিত, এলাচ আগে ছিলো ৩১০০ টাকা যা বর্তমানে ৬ হাজার টাকা, দারুচিনি আগে ছিলো ৫০০ টাকা বর্তমানে ৬০০ টাকা, চিড়া আগে ছিলো ৬৫ টাকা বর্তমানে ৭০ টাকা, চিনিগুড়া চাল আগে ছিলো ৯০ টাকা বর্তমানে ১১০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল আগে ছিলো, ১৮৫ টাকা বর্তমানে ১৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোলার বাজারে বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক থেকে দেড় মাসে ধরে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বোতলজাত তেলের অর্ডার দিলে কোম্পানির লোকজন চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছে না। তেলের সঙ্গে ডিলাররা চিনিগুড়া চাল, চা পাতা, হলুদের গুড়া জাতীয় পণ্য জোরপূর্বক ভাবে আমাদের নিতে বাধ্য করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরাও এসকল পন্য নিতে বাধ্য হই।তারা আরো জানান, বর্তমান বাজারে বেশ কিছু পন্যের দাম কমলেও ঈদকে সামনে রেখে মসলা জাতীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে বিপুল পরিমান।ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান জানান, ভোলায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট, নাকি অন্য কোনোকিছু এর পেছনে রয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, আমি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন নিয়মিত ভোলার বাজারগুলো মনিটরিং করে। রমজান মাসে যদি কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।এসআর

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
টিভিতে আজকের খেলা
টিভিতে আজকের খেলা

ক্রিকেট টপ এন্ড সিরিজ (টি-টোয়েন্টি) বাংলাদেশ এইচপি-পাকিস্তান ‘এ' সরাসরি, বেলা ২টা ৩০ মিনিট; টি স্পোর্টস ইউটিউব ও অ্যাপ ফুটবল ইংলিশ Read more

স্ট্রবেরির দাম পাচ্ছে না চাষিরা  
স্ট্রবেরির দাম পাচ্ছে না চাষিরা  

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাঠে আকারভেদে ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে স্ট্রবেরি বিক্রি হলেও বাজার ও সুপারশপে তা ৮০০ টাকা। ‘বাজারে স্ট্রবেরির চাহিদা নেই’— Read more

‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা চলছে’  
‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা চলছে’  

দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন