বরগুনার তালতলীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে মো. হারুন মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্বে। এ হামলায় নারীসহ চার জন আহত হয়েছেন।শনিবার (০৮ মার্চ) বেলা ১ টার দিকে ‘তালতলী প্রেসক্লাবে’ সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেথীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেতিপাড়া ও গাবতলী মৌজার ৫ একর জমি পৈতৃক সূত্রে মালিক। পূর্বপূূরুষ থেকে এই জমি তাঁরা ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু তার চাচাতো ভাই মো. হারুন মিয়া গং ওই জমি দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তির মালিকানা দাবি করছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। সর্বশেষে দেলোয়ার হোসেন জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত জমিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।এর জের ধরে গতকাল আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মো. হারুন মিয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমি দখলে নেওয়ার জন্য সীমানা প্রচীরে পিলার স্থাপন করতে যায়। এসময় ভোগদখলীয় জমি রক্ষার জন্য বাঁধা দিলে হারুন মিয়ার নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এতে ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন (৪২) ও তার ভাই মোয়াজ্জেম (৫৮) ভাতিজা মাহফুজা(২৪) এবং রাবেয়া বেগম(২২) গুরুতরভাবে আহত হন। এ সময় মোবাইল ও দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৩ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো.হারুন মিয়া বলেন, হিন্দু বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে গেলে মারধরের ঘটনা ঘটে। জমিজমা নিয়ে কোনো ঘটনা ওখানে ঘটেনি।এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জালাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর