কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ছিটমহল খ্যাত ও অবহেলিত ইউনিয়ন বমুবিলছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চরম শিক্ষক সংকট চলছে, বিপাকে স্থানীয় অভিভাবক মহল।স্থানীয় বিশিষ্টজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন শিক্ষক স্বল্পতার কারণে যথাযথভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে । ৩য় ধাপের শিক্ষক নিয়োগে পিছিয়ে পড়া জনপদ। ছিটমহলখ্যাত বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন জনতা।প্রতিবার নিয়োগের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের কারণে সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়না,বদলী হলেও কেউ আসতে চায় না। এমতাবস্থায় পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মানোন্নয়নে জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সচেতন মহল।সরেজমিনে দেখা যায়, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪ টি, প্রধান শিক্ষকসহ অনুমোদিত পদ ২৬ টি । বর্তমান কর্মরত মোট শিক্ষক রয়েছে মাত্র ১১ জন। শুধুমাত্র নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছে ১টি বিদ্যালয়ে । আরো ৩ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান দিয়ে চলছে কোনোরকম। প্রধান শিক্ষকসহ বর্তমানে ১৫টি শূণ্যপদ ।এরমধ্যে বমু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদ ৮ টি, কর্মরত শিক্ষক আছে ২ জন, শূণ্যপদ ৬ টি। বিলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদ ৮ টির বিপরীতে কর্মরত আছেন শিক্ষক ৫ জন, শূণ্যপদ রয়েছে ৩ টি। নাজমা ইয়াছমিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদ ৫ টি, কর্মরত শিক্ষক ৩ জন, শূণ্যপদ ২ টি। আলহাজ্ব হাকিম আব্দুল গণি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত ৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত শিক্ষক ০১ জন, শূণ্যপদ ৪ টি।কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, বমুবিলছড়িতে ইউনিয়নে অনেক শিক্ষক পদ শূন্য হয়েছে। সামনে নিয়োগ আছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা আগামীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর