চলছে পবিত্র রমজান মাস। ইফতারির পণ্যে সরগরম বাজার। ইফতারে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবারের সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে দেশি-বিদেশি ফলের। এ তালিকায় তরমুজের চাহিদাও এখন অনেক বেশি। এই রসালো ফলের জুস বানিয়ে অনেকেই ইফতারের কাজ সেরে নেন।এদিকে ধীরে ধীরে শীতের আমেজ শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে রমজানের শুরুতেই বাজারগুলোতে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ। বেচাকেনায়ও বেড়েছে হাঁকডাক। এক সপ্তাহ ধরে বরিশালের বাজারে পুরোদমে নতুন তরমুজ আসছে প্রতিদিনই।বরিশালের বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি পিচ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা উপরে দরে। তবে বরিশালের বাজারে তরমুজের দাম বেশি হলেও রয়েছে ক্রেতাদের চাহিদা।রোজা উপলক্ষে বাজার জমবে বলে আশা করছেন খুচরা বিক্রেতারা। শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।সরজমিনে ঘিয়ে দেখা গেছে, তরমুজের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় অপেক্ষাকৃত বেশি। দরদাম করে কেউ তরমুজ কিনে ফিরছেন, আবার অনেকে দাম শুনে চলে যাচ্ছেন।সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। এপ্রিল-মে মাসজুড়ে থাকে তরমুজের ভরা মৌসুম। তবে ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের শুরুতে বাজারে আসতে শুরু করেছেন তরমুজ। বর্তমানে বাজারে এ ধরনের আগাম তরমুজই বিক্রি হচ্ছে।বিক্রেতারা জানান, এখন তরমুজের সরবরাহ মোটামুটি ভালো রয়েছে। সামনে আরো বাড়বে। বর্তমানে বাজারে যে তরমুজগুলো দেখা যাচ্ছে, তা আকারে ছোট বা মাঝারি। ওজনে এগুলো তিন থেকে পাঁচ কেজির মধ্যে। তবে বরিশালের বাজারে বড় তরমুজ দেখা যায় বেশি। ক্রেতাও বেশি।খুচরা বিক্রেতারা জানান, মাঝারি আকারের পাঁচ কেজির একটি তরমুজের দাম পড়বে ৪০০ টাকা। কয়েক দিনের মধ্যে এ দাম আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা।তাঁরা বলেন, এখন তরমুজের চাহিদা বেশি। কম খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর