টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ফেসবুক প্রোফাইল ও কভার ফটোতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি দেখা যাচ্ছে। এতে স্থানীয় আ.লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ওই আ.লীগ নেতা মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম পিন্টু।স্থানীয়রা জানান, তৎকালীন সময়ে পিন্টু বানাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন মন্টুর সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে তার পক্ষে নির্বাচন করেন। এরপর তিনি ২০০৯ সালের দিকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বানাইল ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আরও দুই দফায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। পিন্টুর ফেসবুক ওয়াল ঘেটে দেখা যায় ২০২৪ সালে ৮ আগস্ট তার কভার ফটোতে খালেদা জিয়ার ছবি আপলোড করেন। সেখানে লেখা রয়েছে ‘দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’। একই দিনে পিন্টুর ফেসবুক প্রোফাইলে বেগম খালেদা জিয়ার আরেকটি ছবি আপলোড করা হয়। যার ক্যাপশনে লেখা ‘মমতাময়ী মা’। পরবর্তীতে ২১ আগস্ট কভার ফটো পরিবর্তন করে ছাত্র গণ জমায়েত অনুষ্ঠানের একটি ছবি আপলোড করেন, সেই ছবিতে স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আরিফসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাদের ছবি রয়েছে। তার ফেসবুক বায়োতে লেখা রয়েছে জেনারেল সেক্রেটারি বানাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।এদিকে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার ফেসবুক আইডি অন্য কেউ ছবিগুলো আপলোড করেছেন। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় একটি জিডি করেছেন। তিনি আ.লীগ করতেন, আ.লীগে আছেন। আ.লীগ করার কারণে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনের পর তার নামে হত্যা মামলা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জহিরুল হক জানান, প্রথমে বিষয়টি নিয়ে আমরাও অবাক হয়েছি। পরে শুনতে পেলাম তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে।এদিকে মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কোন পদধারী নেতার বিএনপিতে যোগদানের সুযোগ নেই। পিন্টুর যোগদানের বিষয়ে তার জানা নেই।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর