বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারী অধিকার। তিনি বলেন, নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিত।আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, তার (খালেদা জিয়া) শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য দুটি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগও বৃদ্ধি পায়। দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একট পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।তারেক রহমান বলেন, ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করেন। পল্লী অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদের সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকের এই শুভ দিনে নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম “অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন”-এর সফলতা কামনা করেন।পিএম

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
চাঁদাবাজি লুটতরাজ সন্ত্রাসীদের সাথে আমাদের যেন সম্পর্ক যেন না থাকে, আনোয়ারুল ইসলাম
চাঁদাবাজি লুটতরাজ সন্ত্রাসীদের সাথে আমাদের যেন সম্পর্ক যেন না থাকে, আনোয়ারুল ইসলাম

পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আমি আপনাদের সাথী ভাই, Read more

কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে লুট, গ্রেপ্তার ৭
কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে লুট, গ্রেপ্তার ৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় Read more

আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগিয়েছি: মিশা সওদাগর
আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগিয়েছি: মিশা সওদাগর

ঢাকাই সিনেমায় নায়ক ও খলনায়কের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটির নাম শাকিব খান ও মিশা সওদাগর। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে মিশা Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন