বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর- গজালিয়া সড়কে বেইলী ব্রীজ ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পরেছে ২ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। শুক্রবার (৭ মার্চ ) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় এই সড়কের চেয়ারম্যান লেক নামক স্থানের বেইলী ব্রীজে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক উঠলে ব্রীজটি ভেঙে পড়ে ।বান্দরবান জেলার লামার আজিজনগর- গজালিয়া সড়ক (শহীদ সিপাহী রুহুল আমিন সড়ক) টি চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক এর আজিজনগর ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সংযোগ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে আজিজ নগর হতে পার্শ্ববর্তী ফাইতং ইউনিয়ন, গজালিয়া ইউনিয়ন, লামা উপজেলা সদরসহ বান্দরবান জেলা সদরে যাতায়াত করা যায়।এছাড়াও আজিজনগরের জনগণসহ পাশের দুটি ইউনিয়নের জনসাধারন এই পথে নিয়মিত চলাচল করে থাকে। সড়কটি দিয়ে নিয়মিত পাঁচ সাত হাজার মানুষ বিভিন্ন পরিবহণে চলাচল করে। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন হয়ে পড়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারন সহ পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়ন এর অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কাঁচামাল, শাকসবজি, পান নিয়ে যান ব্যবসায়ী এবং কৃষকগণ।এবিষয়ে আজিজ নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মহারম বলেন, আমি দুর্ঘটনা স্থলে আছি, জনস্বার্থে দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছি যাতে করে জনদুর্ভোগ কমানো যায় তাই ব্রীজটির পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা করে দিচ্ছি, মোটর সাইকেল, সিএনজি সহ ছোট পরিবহণ গুলো যাতে সহজে চলাচল করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।জানা যায়, এই বেইলী ব্রীজটি বহু বছরের পুরানো এবং ইতি পুর্বে এটা কয়েক বার ভেঙেছিলো। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জোড়া তালি দিয়ে, মেরামত করে এটা চালু রেখেছিলো। জোড়াতালির এই ব্রীজটি পাথর বোঝাই গাড়িটি ওজনে ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে গাছ বাঁশ ইট এমন ভারি পণ্য নিয়ে চলাচল করে অনেক পরিবহন যার ফলে ব্রীজটির বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।এই বিষয়ে যুবনেতা তৌহিদুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমাদের লেকের সামনেই এই ব্রীজটি দীর্ঘ দিন নাজুক অবস্থায় ছিলো। শুধু এই ব্রীজটি নয়, এই সড়কে কয়েকটি ব্রীজ খুব বেশি নাজুক অবস্থায় আছে, যেকোনো সময় এসব ব্রীজ ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে, তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ সহ বান্দরবান জেলা প্রশাসক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত সময় এই ব্রীজসহ বাকি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রীজ গুলো দ্রুত সময়ে নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকতার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, কল রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর