সাতক্ষীরার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করার প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) সকালে ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন, ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম ফেরদৌস, মাছুম বিল্লাহ, সিরাজুম মুনিরা, আল মামুনসহ অন্যান্যরা। বক্তারা বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল সাতক্ষীরা পৌর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির পদ পাওয়ার পর থেকে স্কুলের কোন শিক্ষককে তিনি আর শিক্ষক মনে করেন না। তিনি শিক্ষকদের তার বাড়ির চাকর মনে করেন। অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। হুমকি ধামকি দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারতে উদ্যত হন। আজে-বাজে কথা বলেন। তিনি একজন বিকারগ্রস্থ না হলে এমন করতে পারেননা। তাকে এলাকার মানুষ কানকাটা মুকুল নামেই চিনে। বক্তারা আরো বলেন, ‘গত ৫ মার্চ স্কুলের পিয়নকে দিয়ে শিক্ষিকা আকলিমা খাতুনকে স্কুলে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল। স্কুলে আসা মাত্রই কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রধান শিক্ষক আকলিমাকে মারপিট করেন। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে গালিগালাজ করেন। যা একজন শিক্ষকের মুখে কোনদিন শোভা পায়না। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই। স্কুলের এমন কোন শিক্ষক নেই যিনি মুকুল মাস্টারের দ্বারা লাঞ্ছিত হননি।’ এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকে প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুলের বহিস্কার ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে মুহুর্মুহু স্লোগান দেয়া হয়। বক্তারা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি নামাতে বলার জেরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রহ্মরাজপুর বাজারের এক সেলুন দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে উদ্যত হন তিনি। তিনি এখনও স্কুলটাকে আ.লীগ আমলের মত স্বৈরাচারী পন্থায় চালাতে চান। আমরা অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুলকে বহিস্কার, তাকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর