গাজীপুরে শ্রীপুরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসিলাম বনিকে(১৯) দেখতে গিয়ে পদ হারালেন বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইন্দ্রবপুর গ্রামে। গ্রেফতার বনি ওই গ্রামের মো. হারুন হোসেনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছাত্র দলের যুগ্মসম্পাদক। বহিষ্কৃত মো. সাইফুল ইসলাম একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য। গ্রেফতার বনি ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ছাত্রদলের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বনি আ’লীগ প্রার্থী রোমানা আলী টুসির পক্ষে নিবাচনী প্রচারণা করেন। তার বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে মাওনা ফাঁড়ি পুলিশ বনিকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ছাত্রদল নেতা গ্রেফতারের খবরে ইন্দ্রবপুর বাজারে বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়ো হয়। এসময় পুলিশ জানায়, বনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। পুলিশের কাছে প্রমান স্বরুপ ভিডিও ছবি রয়েছে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে নিয়ে চলে আসে। এঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে চেষ্টা করে বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম।এমন সংবাদেও ভিত্তিতে গতকাল বুধবার মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, ওই সময় বনিকে ছাড়াতে বিএনপি বা অংগ সংগঠনের কোন নেতা চেষ্টা করেনি। শুধু বনির গ্রেফতারের কারণ জানতে চেয়েছে। এবিষয়ে, ভূক্ত ভোগী সাইফুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।আমি ওই ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বর্তমান সদস্য। বনিকে ও দল থেকে ইতি পূর্বে বহিষ্কার করা হয়নি। সে স্বপদে বহাল আছে। আমি দলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দাবী করছি উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দ সুবিচার করে আমার বহিষ্কারের আদেশ তুলে নিবেন। মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মিনহাজ উদ্দিন সরকার জানান, নিষিদ্ধ ঘোশিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সাথে সাইফুল ইসলাম তর্কে জড়িয়েছেন। যা পরবর্তীতে সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যার পেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর