গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকার কৃষক মোকলেছুর রহমান শখের বসে সূর্যমুখী ফুলের বাগান গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তার এই শখের বাগান এখন উপজেলায় দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন।বুধবার (৫ মার্চ) উপজেলার মাকিষ বাতান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হলুদ রঙের অসংখ্য সূর্যমুখী ফুলের সারি যেন এক অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। বাগানের আশপাশে ইতোমধ্যেই নানা ধরনের খাবারের অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে, যা স্থানীয়দের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে মোকলেছুর রহমান তার এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন। এতে তার প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ দেখে তিনি খুশি। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কালিয়াকৈর উপজেলায় এবার প্রায় আট বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে।ফুলচাষি মোকলেছুর রহমান বলেন, সূর্যমুখী ফুল শুধু দেখতেই নয়, এর বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায়, তা পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এটি পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারজাত করেও ভালো লাভ করা সম্ভব।কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সূর্যমুখী চাষ একদিকে যেমন কৃষকদের জন্য লাভজনক, তেমনি এটি বিনোদনের উৎস হিসেবেও কাজ করে। কৃষকরা চাইলে এটি থেকে বাড়তি আয় করতে পারেন। আমরা কৃষকদের আরও উৎসাহিত করছি সূর্যমুখী চাষ বাড়ানোর জন্য।পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা এই বাগান এখন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত পরিসরে এই চাষ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেএসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর