রোজায় বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। চার দিনের ব্যবধানে আমদানি করা ফলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কলা-পেঁপেসহ দেশি ফলের দামও বেড়েছে। বাজারে হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, ইচ্ছে করেই বিদেশি ফল বাজারে কম ছাড়ছেন আমদানিকারকেরা।রোজায় দেশির পাশাপাশি বিদেশি ফলের চাহিদা বাড়ে। উত্তরা সহ আশেপাশের বেশকিছু জায়গায় একই চিত্র দেখা যায়। এই সুযোগকেই কাজে লাগানোর অভিযোগ রয়েছে ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এবার দেশি-বিদেশি সব ফলের বাজারই চড়া। একশ টাকা কেজির মধ্যে মিলছে হাতেগোনা কয়েকটি দেশি ফল। বিদেশি ফলের জন্য কেজিতে গুণতে হচ্ছে আড়াই থেকে ৪০০ টাকা।রোজার চার দিনের ব্যবধানে দেশি জাতের পেঁপে কেজিতে ৫০ টাকা আর হাইব্রিড জাতের দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কলার দাম ডজনে বেড়েছে ৪০ টাকা। আমদানি করা ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে ৩ হাজার ৬০০ টাকার মাল্টার প্যাকেট এখন ৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০ টাকা কেজি দরের আনার এখন ৪০০ টাকা।ক্রেতারা বলছেন, ফলের দোকানে ফলের দাম দেখেই চলে আসতে হয়, কেনা যায় না। বাজার তদারকির বিষয়টি এখন কেবলি লোক দেখানো।বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, আগে এখানে কোনো শুল্ক ছিলো না। এ বছর খেজুরকে লাক্সারি আইটেম করেছে।আরেকজন বিক্রেতা বলেন, গত বছর যে খেজুর বিক্রি করেছি পাঁচ কেজি ৩৮০০ টাকায়, এবার তিন কেজির কার্টন বিক্রি করছি সাড়ে চার হাজার টাকায়।বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম বিদেশি ফলের। আর দেশি ফলের দাম, আড়তেই বেশি রাখা হচ্ছে।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর