লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট ঘাট এলাকায় মেসার্স সামিয়া এন্টারপ্রাইজ নামীয় একটি বালু মহাল বন্ধের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে একটি দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, দখলে নিতে না পেরে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় একটি দুষ্ট চক্র বালু মহালটির ড্রেজিং মেশিন উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেন বালু মহালটির শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী। জানা গেছে, মেসার্স সামিয়া এন্টারপ্রাইজ নামীয় বালু মহালটি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। পূর্বে বালু মহালটির ড্রেজিং মেশিন নিয়ে কখনো কোন সমস্যা হয়নি। সম্প্রতি ড্রেজিং মেশিনটির কারণে স্লুইসগেটে পানি আসা-যাওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমন একটি অভিযোগ প্রশাসনের কাছে করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ড্রেজিং মেশিনটি স্লুইসগেট থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার মৌখিক  নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বালু মহাল সংশ্লিষ্টরা ড্রেজিং মেশিনটি পূর্বের জায়গা থেকে ৩০ ফুট নদীর গভীরে নিয়ে যায়। এতে করে বর্তমানে ড্রেজিং মেশিনটি নদীর একপাশে ও স্লুইসগেট থেকে নিরাপদ দূরত্বে রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় রহমতখালী চ্যানেলে দু’টি  স্লুইসগেট (রেগুলেটর) রয়েছে।প্রথম স্লুইসগেট থেকে বহু দূরত্বে নদীর একপাশে রয়েছে একটি ড্রেজিং মেশিন। দীর্ঘদিন থেকে ভোলা, চট্টগ্রাম থেকে বালু এনে এই ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে বালু অন্যত্র নিয়ে ব্যবসা করে আসছে মেসার্স সামিয়া এন্টারপ্রাইজ। দেখা যায় ড্রেজিং মেশিনে মাধ্যমে এখান থেকে কোন বালু উত্তোলন করা হয় না। শুধু মাত্র বাল্কহেড মেশিনের মাধ্যমে বালু স্থান্তর করা হয়। এতে করে নদী এলাকায় নাব্যতা সংকট ও স্লুইসগেটের কোন ঝুঁকির লক্ষ করা যায়নি। এছাড়া ড্রেজিং মেশিনের কারণে পানি প্রবাহে কোন প্রতিবন্ধকতাও দেখা য়ায়নি। বালু মহাল শ্রমিক ও স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশে ড্রেজিং মেশিনটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং মেশিনের কারনে সুইজ গেইটে পানি আসা-যাওয়ায় কোন বাঁধা সৃষ্টি হয় না। তারপরেও স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। তারা বালু মহালটি দখলে নিতে না পেরে নানা দরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এছাড় এখানে প্রতিদিন নৌ-যান আসেনা, কখনো কখনো ৬-৭ দিন পর পর বালু নিয়ে নৌকা আসে। তারা এখানে যে ক্ষতির কথা বলছে, তার সম্ভাবনা এই এলাকায় নেই বললেই চলে। তারা আরও বলেন, বালু মহালটিতে দুই থেকে আড়াইশর বেশি শ্রমিক কাজ করছে। এখানকার আয় দিয়ে তাদের সংসার চলে। যদি ষড়যন্ত্রকারীদের কারনে বালু মহালটি বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তারা প্রশাসনের কাছে কারো ষড়যন্ত্রে বা প্ররোচণায় ড্রেজিং মেশিনটি উচ্ছেদ না করার দাবি জানান। এ ব্যাপারে বালু মহালটির পরিচালক বাদশা মোল্লা সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ১৩ বছর ধরে ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে বালু ব্যবসা করে আসছেন তারা। মাসে প্রায় ২ লাখ ঘনফুট বালু এখান থেকেই স্থানান্তর করা হয়। ড্রেজিং মেশিনের কারণে কখনো গেইটের কোনো ক্ষতি কিংবা নাব্যতা সংকটও হয়নি। প্রায় আড়াই মাস আগে প্রশাসনের লোকজন ড্রেজিং মেশিন গেইট এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে বলেছেন। আমরা প্রশাসনের মৌখিক নির্দেশনা মেনে ড্রেজিং মেশিনটি নদীর একপাশে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়েছি। তারপরেও একটি মহল এটি নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।এমআর

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
ছারছীনার পীরের মরদেহ নেছারাবাদে, বিকালে জানাজা 
ছারছীনার পীরের মরদেহ নেছারাবাদে, বিকালে জানাজা 

ছারছীনা দরবারের পীর মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর মরদেহ পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার নিজ গ্রামে এসে পৌঁছেছে। 

রাউজানে সরকারি কর্মকর্তার ওপর যুবদল নেতার হামলা
রাউজানে সরকারি কর্মকর্তার ওপর যুবদল নেতার হামলা

চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আয়েশা সিদ্দিকার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এক যুবদল নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে তার দিকে Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন