রাজশাহীর বাঘায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শ্বশুর-শাশুড়িকে দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে গৃহবধু বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর এলাকায় ভোররাতে সেহেরী খাওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর অসুস্থ শশুর-শাশুড়িকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধু শ্যামলী পলাতক রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।শ্বশুর জলিল হোসেন জানান, তার একমাত্র ছেলে নাসির উদ্দিন এর স্ত্রী শ্যামলী খাতুনের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য ও শত্রæতা চলে আসছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে সেহরী খাবার পূর্বে ছেলের বৌ শ্যামলী খাতুন সেহরী রান্না করে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও স্বামী নাসিরকে খেতে দেন। পরে শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে দুধ দিয়ে ভাত খেতে দেন। প্রথমে শ্বশুড়ি মাশিদা বেগম,এর পর শ্বশুর জলিল দুধ দিয়ে ভাত খাবার সময় বিষের গন্ধ পান। দুধ খাওয়ার পর তারা দুইজন হঠাৎ রক্তবমি শুরু করে।পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় শ্বশুর-শাশুড়িকে উদ্ধার করো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভর্তি করেন। এ সময় শ্বশুর জলিল হোসেন (৬৫) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে শাশুড়ি মাশিদা বেগম (৫৭)উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থায় মঙ্গলবার সংখামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকসিদুল আলম । তিনি বলেন, ৭২ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।এদিকে জলিল হোসেন আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে যে কোনো সময় তার ছেলের বৌ শ্যামলী খাতুন দুধের পাত্রে বিষ প্রয়োগ করে তাদের স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। নাসিরের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন।এ ব্যাপারে বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কমকতা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর