বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেট্রলের আগুনে পুড়ে নিহত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা বিটঘর গ্রামের সন্তান তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) এর লাশ উত্তোলনে বাধা দিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার বিটঘর গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গত ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজয়ের লাশ দাফন করা হয়েছিল।বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করতে যান নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আবু মুছা ও সাথে ছিলেন ঢাকা জেলার সিআইডি ইন্সপেক্টর মাছুম। এ সময় শহীদের পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা লাশ উত্তোলনে অসম্মতি প্রকাশ করেন।মামলার তদন্তের স্বার্থে কেন লাশ উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না জানতে চাইলে শহীদের পিতা শফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত তার পরিবার।এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করেছে শোক ও ক্ষোভের আবহ, পুনরায় লাশ দেখতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নন তিনি। লাশের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সরকারের কাছে তার একমাত্র ছেলের মৃত্যুর বিচারের দাবী।বিটঘর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, পরিবারের আবেগ ও অনুরোধের কারণে লাশ উত্তোলন সম্ভব হয়নি।বিটঘর ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার গিয়াস উদ্দিন জানান, দাফনের সময় সুজয়ের লাশ অর্ধগলিত ও পোড়া ছিল। লাশ উত্তোলনে পরিবারের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হবে বলে তারা বাধা দিয়েছেন।নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু মুছা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে পরিবারের লোকজন অসম্মতি প্রকাশ করে। পরে তাদের লিখিত বক্তব্যে নিয়ে লাশ উত্তোলন ছাড়াই আমরা চলে আসি।উল্লেখ্য- নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের তরুণ টগবগে যুবক তানজিল মাহমুদ সুজয় গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা যায়। জাতির দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিনে বিজয় উদযাপনের সময় স্বৈরাচার সরকার তাকে পুড়িয়ে মারে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর