By: Daily Janakantha
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ॥ কৃষিতে করণীয়
চতুরঙ্গ
21 Jun 2022
21 Jun 2022
Daily Janakantha
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সংক্ষেপে ৪ আইআর বা ইন্ডাস্ট্রি ৪.০। এটি একটি ডিজিটাল বিপ্লব। আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণের চলমান প্রক্রিয়া এটি। শিল্পবিপ্লবের ইতিহাসে তিনটি বিপ্লব। প্রথমটি ১৭৬০ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। দ্বিতীয়টি ১৮৭০ সালে বিদ্যুত আবিষ্কারের ফলে হয়েছে। আর তৃতীয়টি ১৯৬০ সালে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভবের ফলে সংঘটিত হয়েছে। চতুর্থটি এই তিনটিরই উৎকর্ষতার ফসল। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির বদৌলতে শিল্প খাতে আসে অভাবনীয় পরিবর্তন। সেসঙ্গে উৎপাদন শিল্পেও আসে আমূল পরিবর্তন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবটি শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়নি। মানুষের মেধা, অভিজ্ঞতা, বিরতিহীন প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ফসল থেকেই এটি অর্জিত হয়েছে।
পূর্ববর্তী শিল্পবিপ্লবগুলোর ক্ষেত্রে মানুষ যন্ত্রকে পরিচালনা করছে। কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়ে যন্ত্র নিজেই নিজেকে পরিচালনা করছে। জার্মানিতেই সূচিত হয়েছে এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণা। জার্মান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবকে এর জনক বলা হয়ে থাকে। জার্মানসহ ইউরোপের দেশগুলো খাদ্য ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। কিন্তু প্রযুক্তি উৎকর্ষে তারা বেশ এগিয়ে। বিশ্বব্যাপীই কৃষির যান্ত্রিকীকরণ নিয়ে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। কার চেয়ে কে কতটা উৎকর্ষ সাধন করতে পারে সে নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। গোটা পৃথিবীই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশও এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন কৃষিতে। তবে তাদের কাছে ডিজিটাল কৃষিই বেশ প্রিয়। জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ তার এক প্রবন্ধে বলেন, আমরা কৃষি যন্ত্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে এগিয়ে না যেতে পারলে শুধু ক্রেতা হিসেবেই আধুনিক প্রযুক্তির সুফল ভোগ করতে হবে। প্রযুুক্তিগত জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জনের প্রশ্নে সবার সমান অধিকার রয়েছে। এই অধিকার নিয়ে আমাদেরও শামিল হওয়া দরকার অত্যাধুনিক স্মার্টকৃষির মিশনে। কথাটি অতীব সত্য। আমাদেরও এ মিশনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।
কৃষিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা কাজে লাগাতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। মোট জনসংখ্যার ৫৮.৫% অর্থনীতিতে ক্রিয়াশীল এবং তাদের মধ্যে মাত্র ৫.৩% বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষিত। এ দেশে মেধাবী, দক্ষ ও সম্ভাবনাময় তরুণ রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন গুণগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে কৃষি কৌশল ও যান্ত্রিকীকরণের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ সেক্টরের কৃষকরা যাতে কৃষির এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে উৎপাদনশীলতার ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারে, সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মাঠপর্যায়ের দফতর/সংস্থাসমূহের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। গত ১৫ জুন ২০২২ তারিখে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বার্ক) অনুষ্ঠিত হলো ‘৪র্থ শিল্পবিপ্লব : কৃষিখাতের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ কর্মশালা। এটি একটি ইতিবাচক দিক। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম।
বাংলাদেশে আগামী তিন দশকে খাদ্যের চাহিদা বাড়বে ৮০ শতাংশ। বিপরীতে কমবে কৃষিজমি। কৃষকদের একটি প্রজন্ম প্রবীণ জনগোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। তার জন্য তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করে তুলতে হবে। বর্তমান তরুণরা বেশিরভাগই প্রযুক্তিনির্ভর। মানে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশ্বাসী। তাই ভবিষ্যতের কৃষিকে ডিজিটাল কৃষিতে রূপান্তর করা জরুরী হয়ে পড়েছে। আর সেটিই হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল। এর মাধ্যমেই কৃষিজ উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষিকে আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেয়ার সব উপায় বা কৌশল রপ্ত করতে হবে। বাংলাদেশে জমি চাষে পাওয়ার টিলার থেকে ট্রাক্টর প্রযুক্তিতে যেতে ২৫ বছর লেগেছে। কৃষির ডিজিটালাইজেশনে আমরা যেন দেরি না করে ফেলি সেদিকে বেশি খেয়াল রাখা দরকার। তবে এর নেতিবাচক দিকগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বর্তমান প্রযুক্তিবান্ধব সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে কৃষিতে ব্যাপকহারে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবাতাস বইছে। কৃষিবান্ধব সরকারের বৃহত্তম আইসিটি বেজড্ প্রকল্প এটুআই থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে এবং কৃষিবিদ ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের লেখা বই ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও আগামীর কৃষি’ এর বর্ণনা মতে কৃষিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্র ও সম্ভাবনাসমূহ নিম্নরূপ: বুদ্ধিবৃত্তিক ফসল পরিকল্পনা যার মধ্যে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, আর্থিক পরিকল্পনা, সেচ পরিকল্পনা, অনুদান পরিকল্পনা, কৃষি উপকরণ পরিকল্পনা এবং উফশি জাত ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে; স্মার্ট ফার্মিংয়ের কথা বলা হয়েছে যা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, স্মার্ট ইরিগেশন, দ্রুত মাটি পরীক্ষা, ফলন পূর্বাভাস, রোগ পোকামাকড়ের পূর্বাভাস, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মাঠ থেকে ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত সরবরাহ চেনে কৃষিপণ্যের গুণগতমান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিরূপণ, সরবরাহ ব্যবস্থাকে কার্যকর করা, পণ্য পরিবহনে কুলিং ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বাজার সংযোগ চাহিদা পূরণ, সম্ভাব্য মূল্যের পূর্বাভাস প্রদান ছাড়াও তথ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনের সুযোগ রয়েছে। যেমন- আবহাওয়ার তথ্য, মৃত্তিকার তথ্যাবলী, শস্যের তথ্যাবলী, কৃষিপণ্য বাজারের তথ্যাবলী এবং এসবের সঠিক ব্যবস্থাপনাও এর অন্তর্ভুক্ত খাত।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনাময় আরও ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে, কৃষিজ উৎপাদনে জৈব ও ন্যানো সারের ব্যবহার, উলম্ব কৃষি বা ভার্টিকেল ফার্মিং, পুনর্ব্যবহারযোগ্য (রি-সাইক্লিং) কৃষি, কালচারড খাবার, আধুনিক সবুজঘর নির্মাণ, কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো, উৎপাদন উপকরণের ন্যূনতম ব্যবহার, কৃষি ও কৃষিজ শিল্পের আধুনিকায়ন, সর্বোত্তম সুবিধা নিশ্চিত করে তথ্য লেনদেন এবং তত্ত্বাবধানের খরচ হ্রাসকরণসহ গ্রামীণ এলাকায় কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ডিজিটাল বিভাজনের ব্যবধান পূরণ করতে সহায়তা করা এসব বিষয় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রসমূহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষিকে খাপ খাওয়ানোর মোক্ষম সুযোগ রয়েছে। যদিও এর অনেক সুযোগ-সুবিধা ইতোমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান এবং ২টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গেলে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও সরকারী এবং বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ও অফলাইন এ্যাপস রয়েছে। সেখান থেকেও কৃষিবিষয়ক অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এসবই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবেরই সুফল। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখতে কৃষিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। সে সঙ্গে দেশের জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জিডিপিতে কৃষিখাত হতে অধিকতর প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, প্রাকৃতিক সম্পদের স্থায়িত্ব ও ব্যবহার বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করা, ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে কৃষিখাত যেন অন্যান্য খাত থেকে পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। কম জমিতে অধিক ফলন ফলিয়ে বাড়তি জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তির সঙ্গে বিদ্যমান কৃষির সমন্বয় সাধন অতীব জরুরী।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যত অনুষঙ্গ বৈশ্বিক পরিম-লে ছড়িয়ে পড়বে সেটাকে কৃষিতে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা সময়ের দাবি। কৃষি মন্ত্রণালয় ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এ বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের বৃহত্তম আইটি বেজড্ প্রকল্প এটুআই থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কৃষিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অংশ হিসেবে সহসা যা যা করণীয় তা হলো- জমির সঠিক তথ্য জরিপ ডিজিটালাইজেশন করা, ক্রপজোনিং ম্যাপ প্রস্তুতকরণ, ফসল উৎপাদনে ইমেজিং ড্রোনের ব্যবহার, ফসল উৎপাদনে সঠিক পরিসংখ্যান নিরূপণ, কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে অনলাইন উদ্যোগ গ্রহণ, সকল প্রশিক্ষণকে অনলাইন বেজড্ করা, ফসল চাষের লাভ-ক্ষতির গাণিতিক মডেল তৈরি করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে উবার সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা (ভারতে ইতোমধ্যে এ ধরনের সেবা চালু রয়েছে যার নাম ‘ইএম৩ এগ্রি সার্ভিস’; কৃষি যান্ত্রিকীকরণে লাভক্ষতির এ্যালগরিদম তৈরি করা ইত্যাদির সুযোগ রয়েছে।
কৃষিপণ্যের অনলাইন মার্কেটিং অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলা সময়ের দাবি; কৃষিপণ্যের অনলাইন সরবরাহকে আরও স্মার্ট করে তোলা; কৃষির সকল খাতে অটোমেশন চালুকরণ যা সেবা সহজীকরণকে বুঝায়; বালাইনাশক স্প্রে পদ্ধতির অটোমেশন; বীজ প্রত্যয়নে ডিজিটাল ট্যাগ প্রবর্তন করা দরকার। কৃষিতে ড্রোন ব্যবহার করে ফসল খেতের সার্বিক অবস্থার মনিটরিং, বালাইনাশক স্প্রে, ড্রিপ ইরিগেশনসহ অনেক কিছু করা সম্ভব। ড্রোনের সঙ্গে কাস্টমাইজ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ইন্টিগ্রেট করলে ড্রোন একবার কোন এলাকার ফসল খেতের ওপরে দিয়ে উড়ে গেলে অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশসহ ঐ এলাকার সার্বিক অবস্থা জানান দিতে সক্ষম হবে। স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণ করে ১/২ বছরে কোন্ এলাকায় কী ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করবে সেটার আগাম বার্তাও দেয়া সম্ভব। তাতে উপযুক্ত ফসল ফলাতে সুবিধা হবে।
ভবিষ্যতে যেহেতু কৃষি জমি কমবে, তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উলম্ব কৃষি অর্থাৎ ভার্টিকেল ফার্মিংয়ের দিকে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। উলম্ব কৃষি খামার হলো শস্য উৎপাদনের একটি নিবিড় ব্যবস্থা- যাতে বিগ ডেটা, এ্যানালিটিক্স, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংকস (আইওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো একাধিক প্রযুক্তির একত্রীকরণ ব্যবস্থা জড়িত, যাতে কোন কৃষিতাত্ত্বিক সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ফসল ভালভাবে জন্মাতে পারে। এ ধরনের কৃষি কাঠামোতে সংযুক্ত বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ইন্টিগ্রেশন, ডেটা সংগ্রহ, ডেটা বিশ্লেষণ সবটা নিয়ন্ত্রিত হয় সংযুক্ত ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে। ভার্টিকেল ফার্মিংকে লাভজনক করতে আইসিটিনির্ভর প্রাসঙ্গিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ডিভাইসগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রিয়েল টাইম ডেটা সংগ্রহ, ডেটা বিশ্লেষণ এবং এদের স্বয়ংক্রিয় প্রয়োগ উলম্ব খামারে সম্পাদিত বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপকে স্মার্ট ও লাভজনক করতেও সাহায্য করতে পারে। উলম্ব কৃষিকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমন হাইড্রোপনিক্স, এ্যারোপনিক্স, এ্যাকোয়াপনিক্স। এছাড়াও রয়েছে ছাদ-কৃষি। এসব পদ্ধতিসহ কৃষির অন্যান্য খাতে আইওটি প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে সুফল মিলবে অনেক বেশি। তার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষমানব সম্পদ তৈরি ও ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। আগামী দিনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের হাত ধরে উপযুক্ত প্রযুক্তিগুলো অধিকতর এ্যাডভান্সড্ অবস্থায় কৃষির দোরগোড়ায় চলে আসুক সে প্রত্যাশা করছি।
লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ ও সিনিয়র বিজ্ঞানী, বারি;
সাবেক ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, এফএও, জাতিসংঘ
jamaluddin1971@yahoo.com
The Daily Janakantha website developed by BIKIRAN.COM
Source: জনকন্ঠ