By: Daily Janakantha
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় উচ্ছ্বসিত খেলোয়াড়রা
খেলার খবর
20 Jun 2022
20 Jun 2022
Daily Janakantha
জাহিদুল আলম জয় ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই ক্রীড়াপাগল বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘খেলাধুলার মাতা’ খ্যাত বঙ্গবন্ধুকন্যা আরেকবার এ স্বাক্ষর রেখেছেন। সবসময় খেলা সংশ্লিষ্টদের সাথে থাকা প্রধানমন্ত্রী এবার ৬৬ জন ক্রীড়াবিদ ও ২২ জন কোচ-কর্মকর্তাসহ মোট ৮৮ জনকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছেন ২৫ জন পুরুষ ফুটবলার, ২৩ জন নারী ফুটবলার ও ১৮ জন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়ার পর খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
২০২০ সালে নেপালের বিরুদ্ধে মুজিববর্ষ সিরিজ জয়ের জন্য জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল, ভারতকে হারিয়ে সাফ অনুর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নারী ফুটবল দল ও ২০২১ সালের নবেম্বরে কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরুষ ফুটবল দলের ২৫ জন, নারী ফুটবল দলের ২৩ জন ও ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের ১৮ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রী ৫ লাখ টাকা করে উপহার দিয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ফুটবল দলের আটজন কোচ-কর্মকর্তা, নারী ফুটবল দলের দশজন কোচ কর্মকর্তা ও ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের চারজন কর্মকর্তাকে ২ লাখ টাকা করে উপহার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সবমিলিয়ে ৮৮ জন খেলোয়াড় ও কর্মকতাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সরাসরি পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, নারী দলের অন্যতম তারকা মনিকা চাকমা এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান। বাকিদের উপহার তাদের হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে হবে। যখন খেলতে নামবে তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়ে নামবে। আমি সব সময় তোমাদের পাশে আছি।
তোমাদের যখন যা লাগে আমি দেব।’ অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাউদ্দিন, নারী অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। ক্রীড়াপাগল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জামাল ভুঁইয়া, তপু বর্মণ, মারিয়া মান্ডারা। তারকা ডিফেন্ডার তপু বর্মণ বলেন, ‘ইনজুরির পর খেলোয়াড়দের খুব কঠিন সময় যায়। প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখেছি এবং ফুটবলের জন্য সংবর্ধনা পেয়েছি। এটা আমাকে মানসিকভাবে দারুণ চাঙ্গা করছে। অর্থের অঙ্কের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতাকেই অনেক বেশি বড় করে দেখছেন তপু, ‘করোনাকালীন সময়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকে সম্মানিত করেছেন। স্বাভাবিক সময় হলে হয়তো আমরা ছবি তুলতে পারতাম এবং কুশলাদি বিনিময় হতো।
সামনে আবার ভালো কিছু অর্জন করে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আশা রাখি।’ নারী ফুটবল দলের দলনেতা জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা অত্যন্ত ভালবাসেন। বিশেষ করে নারী ফুটবলের প্রতি তার অত্যন্ত সুনজর রয়েছে। নারী ফুটবলাররা প্রধানমন্ত্রীর এই সংবর্ধনায় দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সামনের টুর্নামেন্টে মেয়েরা আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংবর্ধনা নিতে চায়।’
The Daily Janakantha website developed by BIKIRAN.COM
Source: জনকন্ঠ