পাঁচটি ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার সম্পূর্ণ হলে দ্রুতই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনী ও মিডিয়া সংস্কার করার পর আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।’সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন দেশের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ক্ষমতায় থাকার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগের ভঙ্গুর অবস্থা। গণতান্ত্রিক অধিকার ১৫ বছর ধরে দমনের মাধ্যমে খর্ব করা হয়েছে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। নতুন প্রজন্ম ভোট ছাড়াই বেড়ে উঠছিল। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক লুট করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের কোষাগার শেষ করা হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা। ছাত্র আন্দোলনে শত শত মানুষ মারা গেছে। অনেক ছাত্র চোখে গুলি খেয়েছে, আমি তাদের দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা জানি না, ওদের কী হবে। পৃথিবীর কোনো দেশের ছাত্রদের এত ত্যাগ করতে হয়নি। পৃথিবীর কোথাও নাগরিকরা এতটা মানবাধিকার বঞ্চিত হয়নি।’ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জাতিসংঘ তদন্ত করবে– বিষয়টাকে স্বাগত জানিয়ে ইউনূস বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, এটার গ্রহণযোগ্য ও পক্ষপাত অবলম্বন না করে একটা তদন্ত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে পূর্ণ সমর্থ দেবে।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর