By: Daily Janakantha
এমবাপেকে রিয়ালে যেতে দেননি ফ্রান্স ও কাতারের প্রেসিডেন্ট!
খেলার খবর
16 Jun 2022
16 Jun 2022
Daily Janakantha
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসী সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপের স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শেষের নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত স্বদেশী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইনেই (পিএসজি) থেকে গেছেন ২৩ বছর বয়সী এমবাপে। আর এমবাপেকে প্যারিসে থেকে যেতে নাকি বাধ্য করেছেন ফ্রান্স ও কাতারের প্রেসিডেন্ট এবং প্যারিসের মেয়র। তারা ফোন করে এমবাপেকে চাপ দেয়ায় রিয়াল যাওয়ার ভাবনা বাদ দেন। এক সাক্ষাতকারে এমনই দাবি করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ।
কিছুদিন আগে পিএসজির সঙ্গে তিন মৌসুমের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন এমবাপে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের কাছে বিশ্বাসঘাতক হয়ে গেছেন তারকা এই ফরোয়ার্ড। তবে রিয়াল প্রেসিডেন্ট এমন বলেননি। পেরেজ বলেন, এমবাপের ব্যাপারটি সহজ। সে আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার ইচ্ছার কথা সে সবাইকে বলেছিল। সে বলেছে এটা তার স্বপ্ন। গত আগস্টে ওরা তাকে ছাড়েনি, আমাদের প্রস্তাব গ্রহণও করেনি পিএসজি। যে কারণে আমরা অপেক্ষা করেছি মৌসুম শেষ হওয়ার। এমবাপে সবসময় বলেছে তার স্বপ্ন রিয়ালে আসা। কিন্তু ১৫ দিন আগে সব বদলে যায়। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপে তার মধ্যে কিছু বাধ্যবাধকতা চলে আসে। তার ভেতরে এই পরিবর্তন আমরা খেয়াল করেছিলাম। হুট করেই তখন এমন এক এমবাপেকে আমরা দেখলাম যে আর আগের মতো নেই। যে এমবাপেকে আমি আনতে চেয়েছিলাম, এই এমবাপে সেরকম নয়। মনে হচ্ছিল, তার স্বপ্নই বদলে গেছে।
রিয়াল প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এমবাপেকে ফোন করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রচ- চাপ দিয়েছিলেন। এসব রাজনৈতিক চাপ, দুটি দেশের ব্যাপার। মাত্র ২৩ বছর বয়সী একজনের জন্য এটা অনেক বড় চাপ। আইনগত কারণে আমরা প্রাক-চুক্তি করতে পারিনি। তবে যাই হোক, বদলে যাওয়া এমবাপেকে আমি চিনি না। বলা ভালো এই এমবাপে আমার এমবাপে নয়। দুটি দেশের প্রেসিডেন্ট ফোন করা মানে সেটা স্বাভাকিক ব্যাপার নয়। এমনকি প্যারিসের মেয়রও ফোন করেছিলেন। এরপর কাতার থেকে লোভনীয় প্রস্তাবে সে চাপে পড়ে। যে কারণে সহজ পথটা বেছে নিয়েছে। আমার মাথায় আসে না ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কীভাবে তাকে ফোন করেন! স্পেনের রাজা কি এভাবে কোনো ফুটবলারকে বলতে পারেন? ফ্রান্স ও কাতারের মতো দুটি দেশের প্রেসিডেন্ট ফোন করে তাকে চাপ দিয়েছেন!
The Daily Janakantha website developed by BIKIRAN.COM
Source: জনকন্ঠ