By: Daily Janakantha
সেভেরোদোনেৎস্কের ৮০ শতাংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে
বিদেশের খবর
14 Jun 2022
14 Jun 2022
Daily Janakantha
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের শেষ সংযোগ সেতুটিও ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। আঞ্চলিক গবর্নর সেরগি গাইদাই বলেছেন, শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ এখন রুশদের নিয়ন্ত্রণে। গাইদাই বলেন, তিনটি সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় শহরটি এখন কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
সেখানে থাকা বেসামরিক লোকজন আটকা পড়েছেন। শেষ সেতুটিও ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও অসম্ভব হয়ে পড়ল বলে জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বলেন, নদী পার হয়ে শহর থেকে ইউক্রেনীয়দের সরে আসার আর কোন পথ খোলা নেই। সেভেরোদোনেৎস্ক রক্ষায় পশ্চিমা ভারি অস্ত্রশস্ত্রের জন্য জরুরী ভিত্তিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। কিয়েভ বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের জন্য লড়াই এবং যুদ্ধের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে শহরটি রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক প্রদেশের সমন্বয়ে দনবাস অঞ্চল গঠিত। রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই অঞ্চল নিজেদের দাবি করে আসছে।
এদিকে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অংশে গোলার আঘাতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় বাহিনীর গোলাবর্ষণে সোমবারের এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তারা ও রুশ বার্তা সংস্থাগুলো বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় গোলাবর্ষণের খবর দিয়েছে, এসব গোলার কয়েকটি একটি বাজারে আঘাত হেনেছে। পরে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, দোনেৎস্ক শহরের এক মাতৃসদনে একটি গোলা এসে পড়ার পর আগুন ধরে যায়, কর্মীরা তড়িঘড়ি করে রোগীদের হাসপাতালের বেজমেন্টে নিয়ে যায়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই চলছে। সোমবার দিন শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই লড়াইয়ে আমাদের ত্যাগ অনেক বেশি। একেবারে শিউরে ওঠার মতো। যুদ্ধে এগিয়ে থাকতে আধুনিক অস্ত্রের জন্য আবারও তিনি মিত্রদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দনবাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা মস্কোর কাছে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়ার মূল লক্ষ্য দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক রক্ষা করা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, ইউক্রেনের ১ হাজার হাউইৎজার, ৫০০ ট্যাংক এবং ১ হাজার ড্রোন প্রয়োজন। সবশেষ কয়েকটি বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেয়া অস্ত্র ও সরঞ্জাম ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো।
The Daily Janakantha website developed by BIKIRAN.COM
Source: জনকন্ঠ