By: Daily Janakantha
ঢাকার মঞ্চে ‘টিনের সেপাই ও কাগজের নর্তকী’
শেষের পাতা
12 Jun 2022
12 Jun 2022
Daily Janakantha
সংস্কৃতি প্রতিবেদক ॥ গল্পটি এগিয়েছে একটি শিশুকে কেন্দ্র করে। তবে ওই শিশুকে ছাপিয়ে ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয় ভিন্ন পথে। সেখানে মানুষের পরিবর্তে দুটি খেলনা হয়ে ওঠে গল্পের মূল চরিত্র। টিনের সেপাইয়ের সঙ্গে ব্যালেরিনা নামের একটি পুতুল বা কাগজের নর্তকী উঠে আসে দৃশ্যপটে। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে সখ্য। চলতে থাকে পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া ও ভাব বিনিময়। পথ পরিক্রমার নানা ঘটনা তারা বলে যায় একে অপরের সঙ্গে। জার্মান রূপকথার এই আখ্যানটি উঠে এলো ঢাকার নাট্যমঞ্চে। পাঠ ও অভিনয়ের আশ্রয়ে সজ্জিত প্রযোজনাটি মঞ্চস্থ হলো বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে। রবিবার সন্ধ্যায় টিনের সেপাই ও কাগজের নর্তকী শিরোনামের নাটকটি উপস্থাপন করে নাট্যদল প্রাচ্যনাট। জার্মান নাটককে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে গ্যোটে ইনস্টিটিউট। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সমকালীন জার্মান নাটককে অনুবাদের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর স্থানীয় ভাষায় মঞ্চায়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে সমসাময়িক জার্মান নাটক নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় অনুবাদকদের খুঁজে বের করা হয়। পরবর্তীতে ২৫ জন অনুবাদক ২০টি জার্মান নাটকের ৪৬টি অনুবাদ করছেন দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি ভাষায়। বাংলা, উর্দু, মারাঠি, তামিল, হিন্দী ও সিংহলি ভাষায় অনুদিত হলো নাটকগুলো। সেই প্রকল্পের অংশ হিসেবে রবিবার মঞ্চস্থ হলো টিনের সেপাই কাগজের নর্তকী। আজ সোমবার সন্ধ্যায় একই ভেন্যুতে মঞ্চস্থ হবে বহ্নিশিখা প্রযোজিত ভালবাসি শিরোনামের আরেকটি নাটক।
রোল্যান্ড শিমেলফেনিগ রচিত দেড় সিনসোলড্যাট উন্ড দিই পেপিয়ারতাঞ্জারিন শীর্ষক নাটকটি ঢাকার মঞ্চে এসেছে টিনের সেপাই ও কাগজের নর্তকী শিরোনামের। নাটকটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন রমিত রায়। নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। চিত্রনাট্য সম্পাদনার পাশাপাশি সমন্বয়ের কাজটি করেছেন জগন্ময় পাল।
নাটকের গল্পে একটি শিশুর জন্মদিনের উপহার হিসেবে মঞ্চে আসে একটি কাগজের ব্যালেরিনা বা কাগজের নর্তকী এবং একটি টিনের সৈনিক, যার একটি মাত্র পা ছিল। শুরুতে এই দুই খেলনার কেউই কাউকে পছন্দ করে না। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভাব জমে। জাগ্রত হয় প্রেমানুভূতি। সেই সুন্দর অনুভূতির ভেতর দিয়ে দুজনের পথ পরিক্রমার জানালা খুলে যায়। উঠে আসে নানা ঘটনা। সেখানে বর্ণিত হয় কিভাবে তারা জলে বা নর্দমায় ভেসে বেড়িয়েছে। উচ্চারিত হয় মেঘের রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোর কথা। জল বা আগুনের যন্ত্রণা থেকে বেঁচে যাওয়া কিংবা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় ফিরে আসার কথা উচ্চারিত হয়। বর্ণিত হয় একটি ঘুড়ির লেজ ধরে প্রত্যাবর্তনের কথা। এভাবে দুটি ভিন্ন যাত্রা ও অভিজ্ঞতা মিলে যায় এক সুরে।
প্রাচ্যনাট্য পরিবেশিত প্রযোজনাটির অভিনয় ও পাঠে অংশ নিয়েছেন ডিয়ানা মেরিলিন, উর্মি সাহা রায়, ফরহাদ আহমেদ, শামীম, একেএম ইতমাম, আবদুল্লা মোহাম্মদ সাকিব, তাসনুভা রুবায়েত, নাদিয়া আখতার আঁখি, স্বাতী ভদ্র, গোপী দেবনাথ, সুপ্তি দাস, উচ্ছ্বাস তালুকদার প্রমুখ। সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন গোপী দেবনাথ। আফসান হাসানের পোশাক পরিকল্পনায় আলোকসম্পাতে কাজ করেছেন মোখলেসুর রহমান।
The Daily Janakantha website developed by BIKIRAN.COM
Source: জনকন্ঠ