By: Daily Janakantha
পাহাড় কেটে আবাসন প্রকল্প
দেশের খবর
09 May 2022
09 May 2022
Daily Janakantha
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সরকারী কর্মচারীরা আবাসন স্থাপনার নামে পাহাড় কাটছে দেদার। অবৈধ এ আবাসন প্রকল্পে গত এক মাস ধরে পাহাড় ও গাছ কেটে বিভিন্ন পাকা স্থাপনা ও চলাচলের রাস্তা তৈরি করে চলেছে তারা। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে অসাধু এই কর্মচারীরা। শহরের কলাতলী এলাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উচ্চ আদালতের আদেশে অবৈধ ঘোষিত আবাসন প্রকল্পে পাহাড় ও গাছ কেটে পাকা স্থাপনা ও রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করতে এক সচিব, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ ৭ সরকারী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছে কক্সবাজারভিত্তিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজার। সংগঠনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ ২৫ এপ্রিল লিখিতভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে এ অভিযোগ দেয়া হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৮ জুন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ বাতিল, পাহাড়ের কোন অংশ না কাটা, রক্ষিত বন এলাকায় সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা ও বন ধ্বংস না করার আদেশ দেন। আদালতের এই রায় বাস্তবায়িত না হওয়ায় পরে ১২ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে বেলা। আদালত কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে সময় প্রার্থনা করেন তিনি। এ সময় তিন মাসের মধ্যে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের অঙ্গীকার করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের এ অঙ্গীকারের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
The Daily Janakantha website developed by BIKIRAN.COM
Source: জনকন্ঠ