যশোরের শার্শায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কুতুবুল আলম (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত কুতুবুল আলমের ছেলে মাহাবুব আলম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত কুতুবুল আলমকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।শার্শা থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের আব্দুল মজিদ এর ছেলে মজনু মিয়া (৪৬), মৃত নুর বক্স এর ছেলে রইচ উদ্দীন (৫২), মজনু মিয়া এর ছেলে রান (২৪) ও রহমান (১৯), জামান উদ্দীন এর ছেলে সাকিব (২০), আলা উদ্দীন এর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫), মৃত কেরামত আলীর ছেলে আব্দুল খালেক (৫৫) এর সাথে কুতুবুল আলম এর জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে ৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। স্থানীয় ভাবে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও আসামিগন তা না মেনে জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য বাদী পক্ষকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে আসামিগন অন্যের জমিতে গিয়ে জোর পূর্বক দখল করতে যায়। এ সময় কুতুবুল আলম বাধা দিলে আসামিগন অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ পর্যায়ে আব্দুল খালেক এর নির্দেশে তার সঙ্গীরা কুতুবুল আলমকে এলোপাতাড়ি চড়, কিল, ঘুষি মেরে মারাত্মক জখম করেন। এ সময় মজনু মিয়া তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুতুবুল আলমের মাথায় আঘাত করদে গেলে তার চোখের কোনায় লেগে গুরুতর জখম হয়। পরিবারের সদস্যরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কুতুবুল আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি এজাহার দাখিল হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর