কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মাদারীপুর থেকে আসা হাসান মাহমুদ বলেন, হরতাল অবরোধ থাকায় কিছুটা আতঙ্ক, তারপরও বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ তাই কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি, আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন এর সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও পর্যটকদের চাপ থাকতো। বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধ শুরু হওয়ার পর ছুটির দিন ছাড়া পর্যটক খুবই কম থাকে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা অবরোধের কারণে মৌসুমের শুরুতেই সমস্যায় পড়েছেন তারা। বছরের এই সময়ে কুয়াকাটায় ভিড় করেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। কিন্তু অবরোধের কারণে সব বুকিং বাতিল করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার পথে গণপরিবহন না পাওয়া ও রাস্তাঘাটে সংঘাত, সংঘর্ষের কথা চিন্তা করে বের হচ্ছেন না ভ্রমণপিপাসুরা। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে দেখা যাচ্ছে, ছুটির দিন টার্গেট করে পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছে।কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় হরতাল-অবরোধের মধ্যেও পর্যটকরা আসছেন।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ জানান, কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মহিপুর থানা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর