সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আগামী সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার (১৬ ডিসেবর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ‘নিষিদ্ধ’ করার সমালোচনা করে রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে?এসময় তিনি নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন।গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হবার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি গণফোরামের ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ভোটে অংশ নেয়। ভোটে ভরাডুবি ঘটে বিএনপির। এরপর কারচুপির অভিযোগ তোলে তারা। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।এবারও ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর