
কাজাখস্তানে বিক্ষোভ দমনে সাহায্য করার পর রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও শান্তিরক্ষী বাহিনী বৃহস্পতিবার থেকে সে দেশ ত্যাগ করতে শুরু করবে।
কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ এই ঘোষণা করেছেন।
তিনি সংসদকে জানিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে এই প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন হবে।
গত সপ্তাহে কাজাখস্তানের বিক্ষোভকে তিনি ‘বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তবে বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, এই বিক্ষোভ সম্ভবত শাসকদলের মধ্যে ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্বের ফসল।
কাজাখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিক্ষোভে প্রায় ১০ হাজার লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ছবির উৎস, Getty Images
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি খবর দিচ্ছে, তেল-সমৃদ্ধ এই দেশটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে প্রশাসনের একেবারে শীর্ষে – যেখানে প্রাধান্য বজায় রেখেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নজরবায়েভের নিয়োগ করা লোকজন।
মি. নজরবায়েভ ২০১৯ সালে পদত্যাগ করলেও সংবিধান মোতাবেক তিনি এখনও “জাতির নেতা।”
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংসদে ভাষণ দেয়ার সময় মি. তোকায়েভ মি. নজরবায়েভর এমন সমালোচনা করেছেন – যা অনেককেই অবাক করেছে।
যদিও তার উত্তরসূরি হিসেবে মি. নজরবায়েভ এক সময় মি. তোকায়েভকেই মনোনীত করেছিলেন।