সরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। ঘড়ির কাঁটা তখন ৯.২৬ মিনিট। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোশবুর রহমান একটি শ্রেণিকক্ষে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির আটজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। এ সময় সংবাদকর্মীকে দেখে দাঁড়িয়ে তড়িঘড়ি করে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ছুটি দিয়ে দেন।গত ১১ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মো. রাইহুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ছুটির পর এবং বন্ধের দিন শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিংসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়, যা অনভিপ্রেত। কোনোক্রমেই বিদ্যালয়ের কক্ষ প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিংসহ অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে স্ব স্ব দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়ী থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন কঠোর নির্দেশনা থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট পড়ান প্রধান শিক্ষক খোশবুর রহমান।কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়েন তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী। এর জন্য প্রতিমাসে প্রধান শিক্ষককে ৫০০ টাকা করে প্রাইভেট ফি দিতে হয় তাদের।দায়িত্বশীল জায়গা থেকে একজন শিক্ষক হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের কাছে আইডল। সেখানে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাণ্ডজ্ঞানহীন এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে তার নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক জানান, স্কুলে আগের মতো পড়াশোনা নেই। ছেলেমেয়েদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখান। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে তার কাছে প্রাইভেট দিতে হয়।জানতে চাইলে বেজিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোশবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল করানোর জন্যই প্রাইভেট পড়াই।’ তবে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি।এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। সেখানে একজন প্রধান শিক্ষক এমনটা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ-খবর নিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’এফএস

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
শেখ হাসিনার পদত্যাগে বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
শেখ হাসিনার পদত্যাগে বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির নেতারা।

আইপিএল ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন রশিদ খান
আইপিএল ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন রশিদ খান

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বোলার। কার্যকরী একজন লেগ স্পিনার হিসেবে রশিদ খানের কদর বরাবরই বেশি। লেগ স্পিনারদের মধ্যে বিশ্বের Read more

ঢাবি দিবস ১ জুলাই: বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে উদযাপন প্রস্তুত
ঢাবি দিবস ১ জুলাই: বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে উদযাপন প্রস্তুত

আগামী ১ জুলাই উদযাপিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন