কর্মচারীদের টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে আওয়ামী দোসরদের সংঘবদ্ধ করাসহ বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী পথ (পিডব্লিউ) আনিসুজ্জামান রাজনকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সংস্থাপন কার্যালয় (পূর্ব) হতে জুনিয়র পার্সোনেল অফিসার-১ (পূর্ব) মোঃ মহিউদ্দীন সোহেল এর স্বাক্ষরিত দপ্তরাদেশ এ বদলি করা হয়। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, আনিসুজ্জামান রাজনকে এসএসএই, পথ, নরসিংদী বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে মো. জুলহাসকে এসএসএই, পথ, কিশোরগঞ্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।এর আগে গত (১৪ জুলাই) ‘কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের প্রকৌশলী রাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়’ এ শিরোনামে সময়ের কণ্ঠস্বরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে রেলওয়ে প্রকৌশলী রাজনের কর্মচারীর টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে পতিত আওয়ামী লীগের দোসরদের সংঘবদ্ধ করাসহ নানান অভিযোগ উঠে আসে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে কিশোরগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই কার্যালয়ে না এসে গ্রামের বাড়ি মানিকখালি ও কিশোরগঞ্জ শহরের বাসাতেই বেশির ভাগ সময় কাটাতেন রাজন। কালেভদ্রে অফিসে এসে হাজিরা খাতায় সই দিয়ে আবারও চলে যেতেন তিনি। কিন্তু তার দায়িত্বে থাকা রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ তদারকি করার থাকলেও তা করতে দেখা যায়নি।এদিকে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তিন বছরের অধিক কিশোরগঞ্জে কর্মরত থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আনিসুজ্জামান রাজনের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠে। রেলওয়ে শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীদের দিয়ে গড়ে উঠে রাজনের রাজত্ব। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই চলে অন্যত্র বদলির আদেশ। পুনরায় কিশোরগঞ্জে ফিরে পতিত সরকারের দোসরদের সংঘবদ্ধ করে তুলতে পিডব্লিউ রাজন বিভিন্ন কারসাজি করে যাচ্ছেন।রাজনের অধীনে রেলওয়ের ৭৫ কি.মি জায়গা ছিল। সেখানে রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন কাজ করেন তার অধীনস্থ কর্মচারীরা এবং তা দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে একজন হেড মেইট। হেড মেইটের তত্ত্বাবধানে মোট ১১টি গ্যাং প্রতিদিনই রেললাইনের বিভিন্ন অংশে কাজ করে। রেললাইনের পাশে সাধারণ মানুষ কিছু করলেই সেখানে রাজনের অধীনস্থ কর্মচারীরা রেলের প্রভাব কাটিয়ে চাঁদা দাবি করে দেন পুলিশের হুমকি। অভিযোগ রয়েছে রাজনের অধীনে ৭নং গ্যাংয়ে কর্মরত ওয়েম্যান কাজ না করেও বেতন তুলছেন এবং বেতনের একাংশ দিতেন রাজনকে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর