উইম্বলডনের ফাইনালে এবারই প্রথমবার মুখোমুখি হন দুই নতুন মুখ। একদিকে অভিজ্ঞ চার গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ইগা শিয়াওতেক, অন্যদিকে চমক হিসেবে ফাইনালে ওঠা অ্যামান্ডা অ্যানিসিমোভা। তবে ফাইনালের মঞ্চে অভিজ্ঞতার কাছে হার মানলেন আমেরিকান তরুণী। পোলিশ তারকা শিয়াওতেক প্রথমবারের মতো উইম্বলডন শিরোপা নিজের করে নিলেন একক আধিপত্যে।শনিবার (১২ জুলাই) সেন্টার কোর্টে অনুষ্ঠিত মেয়েদের এককের ফাইনালে মাত্র ৫৭ মিনিটে ৬-০, ৬-০ গেমে জয় পান শিয়াওতেক। এই জয়ের মধ্য দিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যামে তার ষষ্ঠ শিরোপা অর্জিত হলো এবং উইম্বলডনে জয়ী প্রথম পোলিশ খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসে নিজের নাম লেখালেন তিনি।অ্যামান্ডা অ্যানিসিমোভার উম্বলডনের যাত্রাটা এতোটা সহজ ছিলো না। ২০১৯ সালে বাবার মৃত্যু এবং ২০২৩ সালে মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে খেলার বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এতে ডাব্লিউটিএ র্যাঙ্কিংয়ে নেমে যান ৪০০-এর নিচে। তবে ফিরে এসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেন।তবে চমক দেখিয়ে ফাইনালে উঠে শিয়াওেতেকের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি অ্যামান্ডা। দুই সেটে হারেন তিনি। এর আগে ১৯১১ সালে উইম্বলডন ফাইনালে ডোরা বুথবিকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়েছলেন ডরোথি ল্যাম্বার্ট-চ্যাম্বার্স। ১৯৮৮ সালে নাতাশা জভেরেভকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা নারী টেনিস খেলোয়াড় স্টেফি গ্রাফ। এবার সেই কীর্তিরই পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি।এই জয়ের মাধ্যমে আরও এক নজির গড়লেন শিয়াওতেক। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে কখনও হারেননি তিনি। এর আগে চারবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ও একবার ইউএস ওপেনের ফাইনালেও জয়ী হয়েছিলেন।ম্যাচ শেষে জয়ের আনন্দে ভেসে গেলেও প্রতিপক্ষ অ্যানিসিমোভার প্রশংসা করতে ভোলেননি শিয়াওতেক। তিনি বলেন, ‘এই দুই সপ্তাহ ও যেভাবে খেলেছে, সেটা প্রশংসার যোগ্য। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেক ফাইনালে মুখোমুখি হব।’উল্লেখ্য, ফ্রেঞ্চ ওপেনে চারবার চ্যাম্পিয়ন হলেও ঘাসের কোর্টে এতদিন সেরা হতে পারেননি এই পোলিশ খেলোয়াড়। তার লক্ষ্য আগামী মৌসুমে মেলবোর্নের ট্রফিও হাতে তোলা।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর